অভাবের কারণে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক দিনমজুর। তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে কাজ না থাকায় অভাবের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের নাম দ্বীন ইসলাম (২৫)। ঘটনাটি ঘটে মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকা।
নিহত দ্বীন ইসলাম মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি বরিশালের কাউনিয়ায় বলে জানা গেছে।
দ্বীন ইসলামের মা জুলেখা বেগম বলেন, লকডাউনে দ্বীন ইসলামের কাজ ছিল না। ও সংসারে ঠিকমতো খাবার দিতে পারতাছিল না। পোলাপাইন না খাইয়া থাকতাছিল। এটি নিয়ে সংসারে সমস্যা চলছিল।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, লকডাউনে স্বামীর কাজ ছিল না। সংসারে অভাব দেখা দেয়। এ কারণে উনি আত্মহত্যা করেছেন; ভেবেছেন, পোলাপাইনরে খাওয়াইতে পারি না বাইচ্চা থাকাইকা কী করুম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাজ না থাকায় দ্বীন ইসলামের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই ছিল। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়াঝাটিও চলছিল। রবিবার সকালেও স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, করোনায় ওই যুবকের কাজ না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার কারণে দ্বীন ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।