আজ বিশ্ব আল কুদস দিবস। আল কুদস হলো বায়তুল মুকাদ্দাস। এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান। এখানে আছে মসজিদুল আকসা, যেটি মুসলমানদের প্রথম কেবলা। শুধু মুসলমান নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও বায়তুল মুকাদ্দাস প্রিয় ও পবিত্র স্থান।
বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-মেরাজে যাওয়ার সময় মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করেন। সেখানে সকল নবী-রাসূলগণও উপস্থিত ছিলেন। নামাজে অংশগ্রহণকারী সকল নবী-রাসুলের ইমাম ছিলেন তিনি।
বনি ইসরাইলের নবী-রাসুলরা যেমন হজরত মুসা (আ:), দাউদ (আ:), সুলায়মান (আ:) এবং ঈসা (আ) এই পবিত্র ভূমি থেকেই দ্বীন প্রচার করেন। এখানেই রয়েছে ইবরাহিম (আ) এর মাজার। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে রয়েছে আল কুদস, মসজিদুল আকসা এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে সহস্র নবী-রাসুলের স্মৃতিচিহ্ন। আর এতো কিছুতে বোঝাই যাচ্ছে যে, ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে আল কুদস কত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বের অন্যতম উপনিবেশবাদী চক্রসমূহ ইহুদী সম্প্রদায়কে ইন্ধন দিয়ে কেড়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের অধিকার। এদের ইন্ধনে ইহুদীরা একের পর এক বর্বর গনহত্যা চালিয়ে মুসলমানদের উচ্ছেদ করছে। এর প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিরা ও সমগ্র বিশ্ববাসী সংগ্রাম করে আসছে।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর ইমাম খোমেনি সর্বপ্রথম ফিলিস্তিন ইস্যুকে ইসলামিকরণ করেন। সেই দিনটি ছিল পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমা; যাকে আমরা জুমাতুল বিদা বলে থাকি। অতঃপর, পবিত্র জুমাতুল বিদায় তিনি বিশ্ব আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান করেন। মুসলিমদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখল মুক্ত করার যে আন্দোলন হয় তারই প্রতীকী দিন এটি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইলের বায়তুল মুকাদ্দাস দখলের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইমাম খোমেনির আহ্বানে বিশ্ব আল কুদস দিবস পালন করা হয়।