নিজের শাসনামলে হওয়া একটি দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। আর তাই দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একটি তদন্ত শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার ফলস্বরূপ তার এই শাস্তি হয়। তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে বাধ্য হবেন পুলিশ মন্ত্রী।
জ্যাকব জুমা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর দেশটির ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ শেষ হয় তার। তার শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেসময় জাতীয় নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এমন একটি দুর্নীতি তদন্তের শুনানিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমা একবার উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই শুনানিতে তাকে পরের শুনানিতে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি পরের শুনানিগুলোতে হাজির হননি। পরে এ বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতকে তদন্ত দলের প্রধান বিচারপতি রেমন্ড জন্ডো হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সিসি খাম্পেদে সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে বলেন, জ্যাকব জুমা তার কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিতে আদালতে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বিপরীতে তিনি উস্কানিমূলক, বিচারবুদ্ধিহীন এবং বিকৃত বক্তব্য করেন, যা ছিল বিচার বিভাগের পূর্ণতা হ্রাস করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমাকে কারাদণ্ড দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আশা করি এর মাধ্যমে সবাই বুঝতে পারবে যে, আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচারের প্রশাসন এখনো আছে।
এর আগে, গত মাসেই জ্যাকব জুমা পৃথক একটি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। নব্বইয়ের দশকে ৫০০ কোটি ডলারের একটি অস্ত্রচুক্তিতে দুর্নীতির ঘটনায় তিনি জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়।
গত মাসেই পৃথক একটি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে জ্যাকব জুমা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। নব্বইয়ের দশকে ৫০০ কোটি ডলারের একটি অস্ত্রচুক্তিতে দুর্নীতির ঘটনায় তিনি জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়। ২০০৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হন জ্যাকব জুমা।