মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে ফেরি। আজ ১৩ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল পৌনে ৭টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া যাওয়ার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পিলারটিতে ধাক্কা দেয়। মাত্র ৪ দিনর আগে গত ৯ আগস্ট সোমবার একই পিলারে দেয় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের রো রো ফেরি। ফেরি কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে গত জুলাই ও চলতি আগস্টে পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল। এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে আবারও একটি ছোট ফেরি পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে এখন পর্যন্ত আমরা তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাইনি।’
ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির একপাশে ফাটল ধরে। তবে ফাটল পানির স্তরের ওপরে থাকায় ফেরিতে পানি উঠতে পারেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে বারবার এই সমস্যা হচ্ছে। এক দিনের ব্যবধানে পদ্মায় পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বেড়েছে। তাই স্রোত আগের তুলনায় আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় ছোট–বড় সব ফেরি চালানো ভয়াবহ ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চালক মো. বাদল হোসেন বলেন, ফেরিটির কারিগরি সমস্যা ছিল। যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেইনি বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও তিনবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন, ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সেসব ঘটনায়।