এক যুবক শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলো। পথিমধ্যে একজন বৃদ্ধ লোকের সাথে তার দেখা। বৃদ্ধ লোকটি যুবককে বললো, তুমি যেহেতু শহরে যাচ্ছো তাহলে আমার একটি উপকার করে দাও। শহরে একজন ব্যক্তি আছে যিনি আব্দুল্লাহ হাজিব বাদশার একজন দারোয়ান। আমার পক্ষ তাঁকে সালাম পৌঁছে দিয়ো।
যুবকটি শহরে আসলো। এই নামের লোকটির অনুসন্ধান করে সে আব্দুল্লাহ হাজিব এর কাছে পৌঁছলো এবং বৃদ্ধ লোক কর্তৃক প্রেরণকৃত সালাম জানালো। দারোয়ান সালামের উত্তর দিলো। দারোয়ানের কাছে যুবকটি ঐ বৃদ্ধ লোকের পরিচয় জানতে চাইলো। দারোয়ান বললো, তাঁর মাঝে আর আমার মাঝে একটি হৃদয়ের সম্পর্ক আছে সেটি তোমার জানার প্রয়োজন নেই। যুবক বলতে লাগলো, বৃদ্ধ লোকটিকে অনেক বুযুর্গ মনে হয়েছে সুতরাং তাঁর পরিচয় আমার জানতেই হবে।
অবশেষে দারোয়ান বৃদ্ধ লোকটির পরিচয় দিতে বাধ্য হলো। বললো, তিনি হলেন আল্লাহ তা;আলার একজন প্রিয় ব্যক্তি পয়গম্বর হযরত খিজির (আ:)। হযরত খিজির (আ:)-এর নাম শুনে যুবকটির মনে আরো আগ্রহ বেড়ে গেলো।
মনের ভিতর প্রশ্ন জাগলো যে, এই লোকটি দাড়োয়ান হয়ে হযরতখিজির (আ:)-এর সাথে এতো গভির সম্পর্ক হলো কীভাবে। মনের প্রশ্নটি মনে না রেখে যুবক দারোয়ানের কাছে করে বসে। দারোয়ান বললো, সেটি তোমার জানার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যুবক তার প্রশ্নের উত্তর শুনবেই। অবশেষে দারোয়ান বললো, সে তো অনেক লম্বা কথা।
মূল কথা হলো, আমি যখন দুনিয়াবী কাজ করি তখনও আমার মালিক মহান রাব্বুল আলামীনকে ভুলি না। আমি বাহ্যত দৃষ্টিতে দুনিয়াবী কাজ করছি, কিন্তু সব সময় আমার অন্তর থাকে আল্লাহ তাআলার সাথে সম্পৃক্ত। তাআল্লুক মাআ আল্লাহ। এই একটি গুণই আছে আমার জানা মতে।
প্রিয় পাঠক! তাআল্লুক মাআ আল্লাহ এটা যে কতো বড় নিয়ামত তা আমরা জানি না। দুনিয়াবী কাজ করার সময় আমরা যদি মনে করি এই কাজ করতে আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন, তখন আর উক্ত কাজ দুনিয়াবী কাজ থাকে না। আল্লাহ তা’আলার আদেশ পালন করার নিয়ত করার সাথে সাথে উক্ত কাজটি পরকালের কাজ হয়ে যায়। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকল কাজ তাঁর উদ্দেশ্যে করার তাওফিক দান করুন। আমীন।