● মঙ্গলবার, এপ্রিল 23, 2024 | 06:16 অপরাহ্ন

আশুরার ইতিহাস- একাব্বর আলী

আশুরার ইতিহাস : মুসলমান হিসেবে জানা আবশ্যক

আরবীতে আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা অর্থ দশম। আরবি মাস হিসেবে ১০ই মহরম দিনটিকে আশুরার দিন বলা হয়। প্রসঙ্গত জেনে রাখা জরুরি যে, আশুরা মানে শুধু কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নয়।

আশুরা বলতে সাধারণত মুসলমানদের অধিকাংশই কারবালার দিন বা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর নাতি হোসাইন ইবনে আলী (রাঃ) এর শাহাদত বার্ষিকীর দিন হিসেবে জানে। অবশ্যই এটি হযরত হোসাইন রা. এর শাহাদাতের দিন, তবে এ ঘটনাটা ঘটার আগেও এই দিনে আল্লাহর বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার নিদর্শন বিদ্যমান ছিল।

কারবালার ঘটনার আগ থেকেই ১০মহরম এই দিনটি বিভিন্ন ঐশ্বরিক ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ,যা মুসলমান হিসেবে সকলেরই জানা উচিত।

শিয়া মতাবলম্বীদের মতে,আশুরার দিনটি কারবালার বিষাদময় ঘটনা- হোসাইন (রাঃ) শহীদ হওয়ার স্মরণে পালন করা হয়। এই দিনটিতে তারা বিভিন্ন ধরনের তাজিয়া মিছিল,মিছিলে বুক চাপড়ানো,বুকে-পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত,মাতম,শোকানুষ্ঠান পালন করে থাকে। তবে বাংলাদেশে অন্য কিছু দেখা না গেলেও সাধারণত তাজিয়া মিছিলটি দেখা যায় ।
তাছাড়া এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মতো দেশগুলো হলো পাকিস্তান,আফগানিস্তান ইরান,ইরাক,লেবালনও বাহরাইনের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো।

শিয়া মতানুযায়ী, ইহুদিরা মুসা (আ:) এর বিজয়ের জন্য আশুরার রোযা পালন করে। সূন্নীরা তাতে ভিন্ন মত পোষণ করেন।

১০ মহরম আশুরার দিনটি কারবালায় হোসাইন(আ:) শহীদ হওয়া ছাড়াও আরো অনেক ঘটনার কারণে গুরুত্বপূর্ণ
এই দিনে যা যা ঘটেছিল তা হলো : ( কিছু বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মতদ্বন্দ রয়েছে)

✓ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করা হয়েছিল।
✓ হযরত আদম (আ:) কে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
✓ হযরত আদম(আ:) কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ভুলের কারণে আবার পৃথিবীতে প্রেরন করা হয়।আবার তাঁর তওবা কবুল‌ও করা হয়েছিল।
✓ আল্লাহ স্বয়ং নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রু হতে নিজে আশ্রয় প্রদান করেছিলেন।
✓ হযরত মুসা (আ:) এর শত্রু ফেরাউনকে লোহিত সাগরে (ভুল তথ্য- নীলনদ ) ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।
✓ হযরত মুসা (আ:) তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথোপকথন ও আসমানী কিতাব “তাওরাত” লাভ করেছিলেন।
✓ হযরত নুহ (আ:) ও তার সঙ্গীদের মহাপ্লাবন ও ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করা হয়েছিল।
✓ হযরত ইউনুস (আ:) মাছের পেট হতে পরিত্রান পান।
✓ হযরত দাউদ (আ:)এর তওবা কবুল করা হয়েছিল।
✓ হযরত আইয়ুব(আ:)দুরারোগ্য কুষ্ঠব্যাধি থেকে মুক্তি ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন।
✓ হযরত ঈসা(আ:)এর জন্ম ও আল্লাহ্ তাঁকে সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
✓ হযরত ইব্রাহিম(আ:)-জাতির পিতা,জন্মগ্রহণ করেন এবং নমরুদের বিশাল অগ্নিকুন্ড হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
✓ হযরত ইদ্রিস(আ:)কে বিশেষ মর্যাদায় চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল।
✓ হযরত ইউসুফ (আ:)এর সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব (আ:)এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
✓ হযরত সোলায়মান (আ:) সাময়িক রাজত্ব হারিয়েছিলেন এবং এই দিনে রাজত্ব ফিরে পান।
✓ কথিত আছে যে,কাবা শরীফ সর্বপ্রথম গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয়।
✓ প্রচলিত আছে যে,এই দিনটিতেই কেয়ামত সংঘটিত বা পৃথিবী ধ্বংস হবে।

তবে এইসব ঘটনার বিষয়ে বিভিন্নজনের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কারণ তথ‍্যগুলো ধর্মীয় ইস‍্যু।
হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) এর কারবালায় শহীদ হওয়ার ঘটনাটি পরে যুক্ত হয়। অথচ আশুরা বলতেই আমরা বলে উঠি, ও-অ ইমাম হোসাইনের শহীদের দিন !

◆ কারবালার বিষাদময় মর্মান্তিক ঘটনা :
[[ইমাম হোসাইন রাঃ এর শাহাদাত বরণ ]]

হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া রা, পিতার মৃত্যুর পর মুসলিম বিশ্বের খলিফা নির্বাচিত হন । যা জীবীত সাহাবীদের সমর্থনে আগেই প্রস্তুত করেছিলেন হযরত আমিরে মোয়াবিয়া রা.।

হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এজিদের আনুগত্য স্বীকার করেননি। রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য তিনি মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা নামক স্থানে পৌছলে কুফার গভর্নর ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাকে বাধা দেন।

অবশেষে কারবালায় অবস্থান নেন।এসময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।কিছুক্ষণের মধ্যে সীমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে বহু নতুন সৈন্য এসে তাদের সাথে যোগ দেয়। মোট সৈন্য সংখ্যা কমপক্ষে ৪০০০ বা ৫০০০ । হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) সঙ্গী সাথীসহ মাত্র ৭০ থেকে ১৫০ জন ছিলেন।

যুদ্ধ শুরু হয়।

এই যুদ্ধে ইমাম হোসাইন (রাঃ) ও তাঁর ৭২ জন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেছিলেন। সীমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসাইন(রাঃ) কে হত্যা করে। মাথা শরীর থেকে ছিন্ন করে মস্তক বর্ষায় বিদ্ধ করে দামেস্কে ওবায়দুল্লাহর দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়।তাঁর দেহ মোবারকে ৩৩টি বর্ষা ও ৩৪ টি তরবারির আঘাত ছিল। শরীরে ছিল অসংখ্য তীরের জখমের চিহ্ন।

সেদিন ছিল আশুরার জুম্মার দিন।

◆ কারবালা ঘটনার ঐতিহাসিক পটভূমির পরিপ্রেক্ষিত:

৬৮০ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে আমিরে মুয়াবিয়া রা. পুত্র ইয়াজিদকে খলিফা ঘোষণা করেন । ইয়াজিদ মদিনার গর্ভনরকে তাৎক্ষণিকভাবে হোসাইন(রাঃ)সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনুগত্য আদায়ের জন্য নির্দেশ দেয়।কিন্তু হোসাইন (রাঃ) তা প্রত্যাখান করেন। হোসাইন (রাঃ) মনে করেন ইয়াজিদ ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে।মোহাম্মদ (সা:) এর সুন্নাহকে পরিবর্তন করছে।
এ কারণে ইয়াজিদের রোষানল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হোসাইন (রাঃ) তাঁর পরিবারের সদস্য,সন্তান, ভাই এবং হাসান (রাঃ)এর পুত্রদের নিয়ে মদিনা থেকে ইরাকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
হোসাইন (রাঃ) সবাইকে নিয়ে ইরাকের কুফা নগরীর উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রস্তুতি নেন। অন্যদিকে কুফাবাসী মুয়াবিয়া রা. এর ইনতিকাল সম্পর্কে অবগত ছিল। তারা চিঠির মাধ্যমে হোসাইন(রাঃ)কে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং উমাইয়াদের বিপক্ষে তাকে সমর্থন প্রদান করে।প্রত্যুত্তরে হোসাইন (রাঃ) চিঠির মাধ্যমে জানান,পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি মুসলিম ইবনে আকিলকে পাঠাবেন।চিঠি মোতাবেক যদি তাদের ঐকবদ্ধ দেখতে পান,তবে খুব দ্রুতই যোগ দেবেন।
কারণ একজন ইমামের দায়িত্ব হচ্ছে কোরআনে বর্ণিত আইন অনুসারে কাজ করা। ন্যায়বিচার সমুন্নত করা, সত্য প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজেকে সৃষ্টিকর্তার নিকট সঁপে দেওয়া।

মুসলিম ইবনে আকিলের প্রাথমিক মিশন খুবই সফল ছিলো এবং ১৮০০ এর অধিক ব্যক্তি শপথ গ্রহণ করেছিলেন।কিন্তু ইতিমধ্যে আবার শপথ গ্রহণকারী ব‍্যাক্তিদের মতের পরিবর্তনও হয়ে যায়।

ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ কুফার নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন।যোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মুসলিম ইবনে আকিলকে হত্যার নির্দেশ দেয়।আর এই দিকে আকিল এর মৃত্যুর খবর পৌঁছার আগেই,না জেনে হোসাইন ইবনে আলী কুফা যাত্রা আরম্ভ করেন।
পথিমধ্যে হোসাইন (রাঃ) খবর পান যে,কুফাই আকিলকে হত্যা করা হয়েছে।তিনি খবরটি তার সঙ্গী সমর্থকদের জানালেন এবং বললেন,জনগণ তার সাথে প্রতারণা করেছে।তিনি কোনো সংশয় ছাড়াই সাথীদের এও বললেন যে,তোমরা আমাকে ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাও।অধিকাংশ সঙ্গী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। শুধু নিকটাত্মীয়রা তাঁকে ছেড়ে যায়নি।
হোসাইন (রাঃ) কুফার সেনাবাহিনীকে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে বললেন,কুফাবাসীগণ হোসাইন(রাঃ) কে আমন্ত্রণ করেছিলেন।কুফাবাসী সমর্থন করেছিলো বলেই তিনি যাত্রা করেছেন কিন্তু তারা হোসাইন(রাঃ) এর আগমনকে অপছন্দ করে।সেনাবাহিনী হোসাইন(রাঃ)কে যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যেতে বলেন। সেনাবাহিনী হোসাইন (রাঃ) কে অন্য পথ অবলম্বন করতে বলেন।
এটিও ছিলো সেনাবাহিনীর অন্য একটি উদ্দেশ্য। হোসাইন (রাঃ) বাম দিকে যাত্রা শুরু করে কারবালায় পৌঁছে গেলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী হোসাইন(রাঃ)কে এমন জায়গায় অবস্থান নিতে বাধ্য করলো, যে জায়গাটি ছিল পানিশূন্য।

সেনাপ্রধান ওমর ইবনে সাদ হোসাইন (রাঃ) এর আগমনের উদ্দেশ্য বোঝার জন্য দূত প্রেরণ করলেন।হোসাইন(রাঃ) জানালেন,তিনি কুফাবাসীর আমন্ত্রণে এসেছেন।এতে যদি তাদের আপত্তি থাকে তাহলে তিনি ফিরে যেতে প্রস্তুত আছেন।কিন্তু এই তথ্য যখন ইবনে জিয়াদের কাছে পৌঁছে গেলো তখন তিনি সেনাপ্রধান সাদকে হোসাইন(রাঃ) ও তার সমর্থকদের ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য আদায়ের নির্দেশ দিলেন।আরও নির্দেশ দিলেন যে, হোসাইন (রাঃ) ও তার সঙ্গীরা যেন কোনো পানি না পায়। আর তাই পরের দিন সকালে ওমর বিন সাদ সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন।
আল হুর ইবনে ইয়াজিদ আল তামিম,সাদের দল ত্যাগ করে হোসাইন (রাঃ) এর সাথে যোগ দিলেন। তামিম কুফাবাসীদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে মহানবী (সা:) এর নাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভর্ৎসনা করলেন।
পরে যুদ্ধে তিনি নিহত হন।

◆ কারবালার যুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু তথ্য :

কারবালার যুদ্ধ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। দিনটি ছিলো ইসলামিক পঞ্জিকা অনুসারে
১০ মহরম ৬১ হিজরি ১০ ই অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ।
বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল।

এই যুদ্ধে প্রায় ৭২ জন শহীদ হন,যাদের সকলেই খাওয়ার পানি পর্যন্ত পাননি।সকল পুরুষ সদস্য শহীদ হন,কেবলমাত্র রোগা ও দুর্বল জয়নুল আবেদীন ছাড়া।
এমনকি বাদ যায়নি হোসাইন(রাঃ) এর ৬ মাস বয়সী শিশুপুত্র আলী আল আসগর ইবন হোসাইন। শিশু আসগরও যুদ্ধে শহীদ হন।

এটি ছিলো একটি অসম যুদ্ধ।যে যুদ্ধে হোসাইন(রাঃ) তাঁর পরিবারের সদস্য ও নামেমাত্র কয়েকজন সমর্থক নিয়ে বিশাল এক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আবু রায়হান আল বিন্নী’র মতে,
“তাবুগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং মৃত দেহগুলোকে ঘোড়ার খুর ধারা ক্ষতবিক্ষত ও পদদলিত করা হয়। মানব ইতিহাসে কেউ এমন নিশৃংসতা দেখেনি।”

মৃত্যুর আগ মুহূর্তে হোসাইন (রাঃ) বলেন,”আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি মোহাম্মদের(সা:) দ্বীন জীবন্ত হয় তবে আমাকে তরবারি দ্বারা টুকরো টুকরো করে ফেলো।”

উমাইয়া সৈন্যরা হোসাইন (রাঃ) ও তার পুরুষসঙ্গীদের হত্যা করার পর সম্পদ লুট করে। মহিলাদের গয়না কেড়ে নেয়। সীমার জয়নাল আবেদীনকে হত্যা করতে চাইলে জয়নাব বিনতে আলী এর প্রচেষ্টায় কমান্ডার ওমার ইবনে সাদ রোগা ও দুর্বল হিসেবে তাকে জীবিত রাখেন। তবে তাকেও বন্দী করে শিশু ও নারীদের সাথে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়।

◆ শিয়া সম্প্রদায়ের আশুরা উদযাপনের রীতি :

ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মহরম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে। শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতম এর মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে।আশুরা উপলক্ষে
৯ ও ১০ মহরম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ তারিখে মহরম রোজা রাখা শিয়া মুসলমানরা সুন্নাত বলে মনে করে।

◆ সুন্নিদের ভিন্নমত ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি :

সুন্নিদের বিভিন্ন মতের কারণে আশুরা উপলক্ষে সুন্নি মুসলিমরা সাধারণত দুই থেকে তিনটি নফল রোজা রাখেন।

◆ কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে বাংলা সাহিত্য সৃষ্টি :

মীর মশাররফ হোসেন কারবালা প্রেক্ষাপটের আলোকে “বিষাদ সিন্ধু” নামক একটি উপন্যাস রচনা করেছেন (কিন্তু বিষাদ ষিন্দুর তথ্যগুলো অনেকটাই কাল্পনিক ও বানোয়াট )। এই বিয়োগান্তক ঘটনার প্রেক্ষিতে কাজী নজরুল ইসলাম বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন।

ইয়াজীদ নয় হোসাইন নয় কারবালার এই বিষাদময় ঘটনার জন্য দায়ী তৃতীয় পক্ষ – সাবায়ীরা। মুসলিম রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে মুসলিমবিরোধী সাবায়ীরা ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতে থাকে- যার জালে ফেসেগেছেন হযরত হুসাইন রা ও তার পরিবার, শেষে ঘটলো আশুরার এই অঘটন। আমরা মর্মাহত, শোকাভিভুত। আমরা ঘৃনা জানাই ইসলম বিরোধী অশুভ শক্তিকে। হুসাইন জিন্দাবাদ, ইয়াজিদ জিন্দাবাদ, আশুরা জিন্দাবাদ, ইসলামবিদ্বেষীরা নিপাত যাক। কে জিতলো কে হারলো তা মূখ্য নয়,মূখ্য হলো আশুরায় ইসলামের বিজয় হয়েছে। কারবালার ঘটানাকেও একটু বিচক্ষণাতার সাথে বিশ্লেশণ করলে ইসলারেম বিজয় বুঝাযায়। এছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে আশুরার সকল ঘটনাই ইসলামের বিজয়ের ঘটনায় সমৃদ্ধ। কারবালার বিষাদ বাদে ইতিহাস সাক্ষী আশুরা মুসলিম বিশ্বের বিজয় দিবস।

লেখক পরিচিতি-
মোঃ একাব্বর আলী প্রাং
প্রভাষক,রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগ।
জাহানারা-কামরুজ্জামান (জেকে) ডিগ্ৰী কলেজ।
দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
মোবাইলঃ 01712 - 652593

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...