পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু দেখা দিয়েছে ভাঙন। আজ শুক্রবার বিকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবারও শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয় ভবনে ক্লাস করেছে। আর সেই ভবনটি কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ভবন, হাজারো ঘরবাড়ি এভাবেই নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নদীর পানি কমে যাওয়ায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। যে কারণে তার ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই নদী তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ধসে গেছে। বিষয়টি তারা ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মোট সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকায় রাজবাড়ী শহর রক্ষায় পদ্মা নদীর তীর স্থায়ী সংরক্ষণ কাজ হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর আর বরাট ইউনিয়নে পাঁচ কিলোমিটার নদীর তীর স্থায়ী সংরক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া আড়াই কিলোমিটার পূর্বের কাজ সংস্কার করা হয়। কাজের মোট ব্যয় ধরা হয় ৩৭৬ কোটি টাকা। খুলনা শিপ ওয়ার্ড কাজটি বাস্তবায়ন করে। এই কাজটি ২০১৮ সালের জুনে শুরু হয়ে শেষ হবার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। কাজের মেয়াদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ করে।
তবে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা কাজ এখনো বুঝে নেয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। এই সময়ে ভেঙে যাওয়া এলাকা মেরামত করে কাজ আমাদের বুঝিয়ে দিবে।