নাম তার পারভেজ। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় পারভেজকে বাঁ পা হারাতে হয়েছে। এখন তিনি হান্দওয়াড়ার একটি সরকারি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র।
বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব হাঁটা পথে ২ কিলোমিটার। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে এক পায়ে পেরিয়ে আসেন সেই পথ। প্রতিদিন ৪ কিলোমিটার পথ এক পায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তিনি স্কুলে যান।
জম্মু-কাশ্মীরের হান্দওয়াড়ার স্কুলের এই ছাত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘এক পায়ে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা পার করি আমি। কিন্তু রাস্তা ভালো না। যদি একটা কৃত্রিম পা পেতাম, স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারতাম। জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখি।’
দুই কিলোমিটার রাস্তা এক পায়ে প্রায় ছুটতে ছুটতে যাওয়া-আসা করতে শরীরের অনেক কষ্ট হয়। স্কুলে পৌঁছতেই ঘামে ভিজে যায় ইউনিফর্ম। পারভেজ ক্রিকেট, কাবাডি এবং ভলিবল খেলতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেই খেলো আর এই এক পায়ে হয়ে ওঠে না।
পারভেজের বাবাও জানান, তিনি ছেলের জন্য সরকারি সাহায্য চেয়েছেন। তার কথায়, ‘আমার ছেলে আমার চেয়েও বেশি পরিশ্রমী। জীবনে ভালো কিছু করতে চায় আমার ছেলে ।’
এদিকে, লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়ার ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পারভেজকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু সংগঠন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে একটি হুইল চেয়ার পেয়েছেন পারভেজ। কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় সেই হুইল চেয়ারে যাওয়া অসম্ভব। তাই সেটি কোনও কাজেই লাগে না তার।