একবার হযরত ওমর রা. এর ছেলেকে হযরত হুসাইন রা. গোলামের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছে। ওমর রা. এর ছেলে তার বাবা ওমর রা. এর নিকট নালিশ করলো। ওমর রা. ছেলেকে বললেন শুক্রবার দিনে জুমার সময় সবার সামনে বিচার করবো।দিনের চাকা ঘুরে এলো শুক্রবার। মসজিদ ভরা মুসল্লি। সবার সামনে হযরত ওমর রা. হুসাইন রা.কে বললেন, হুসাইন তুমি একটু দাড়াও।সবাই ভয়ে জড়োসড়ো। নাজানি কী বিচার করেন হযরত ওমর। হযরত হুসাইন দাড়ালেন। হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করলেন হুসাইন তুমি কি আমার ছেলেকে গালি দিয়েছো? তিনি নির্ভয়ে জাবাব দিলেন হ্যাঁ দিয়েছি। সবাই বাক রুদ্ধ। হুসাইন একটু ঘুরিয়ে জবাব দিতে পারতেন। না, হুসাইন সোজা বলে দিলেন। এবার ওমর জিজ্ঞাসা করলেন, কি গালি দিয়েছো? আবার হুসাইন রা. সোজা জবাব- গোলামের বাচ্চা বলিছি। ওমর রা. জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি এ কথা কাগজে লিখে দিতে পারবে? হুসাইন বলল অবশ্যই দিতে পারবো।কাগজ কলম দেওয়া হলো হুসাইনের হাতে। হুসাইন কাগজে লিখে কাগজটি হযরত ওমরের হস্তগত করলেন। সবয় বিষ্ময়ে তাকিয়ে আছেন হযরত ওমর কী কঠিন বিচার করেন। কাগজ হাতে নিয়ে হযরত ওমর দাড়ালেন রায় শোনাতে। সবাইকে বিষ্মিত করে হযরত ওমর বললেন, আমার ইনতিকালের পর আমার কাফনের কাপড়ের ভিতরে এই কাগজের টুকরাটি দিয়ে দিবেন, এটা আমার ওসিয়্যত। কারণ হাশরের ময়দানে আমার নাজাতের যদি কোন ওসিলা না পাওয়া যায়, তখন আমি এই কাগজের টুকরা আল্লাহকে দেখিয়ে বলবো- হে আল্লাহ! আপনার প্রিয় নবীর আদরের নাদি আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছে আমি তোমার গোলাম আর আমার ছেলে গোলামের ছেলে।হুসাইনের গালি আমার রহমত ও নাজাতের কারণ হতে পারে। সবাই এই রায় শুনে অবাক!