ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর পেয়ে কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর পরপরই সেখানে পৌঁছায় সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস। দুটি দল একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় কারখানার ভেতরে ওই পালায় দায়িত্বরত দুই শতাধিক শ্রমিক-কর্মকর্তা এবং ভেতরে আসা লরির চালক ও সহকারীসহ অসংখ্য কৌতূহলী মানুষ ছিলেন। অনেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও করছিলেন। কয়েকজন ফেসবুক থেকে সরাসরি (লাইভ) প্রচার করছিলেন। এ অবস্থায় রাত আনুমানিক ১১টায় হঠাৎ একটি কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে বিকট শব্দে ঘটনাস্থলের চারপাশে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো এলাকার। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। এরপর অসংখ্য অ্যাম্বুল্যান্স, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়িতে হতাহতদের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দগ্ধদের আর্তনাদ ও স্বজনহারাদের আহাজারিতে হাসপাতালে অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ডিপোর বিভিন্ন কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় আগুন নেভানো কিংবা উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন গতকাল রাতে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছেন।