চলছে করোনা মহামারি। এই সময় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা বিশ্ব। তাই কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায় সকল কর্মীকে বোনাস হিসেবে দেড় হাজার ডলার দিচ্ছে মাইক্রোসফট। সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ এক বার্তায় এককালীন বোনাসটিকে ‘ভিন্ন এবং চ্যালেঞ্জিং অর্থবছর শেষ করার স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) কর্মীদের বোনাসের ঘোষণা করেন মাইক্রোসফটের চিফ পিপল অফিসার ক্যাথলিন হোগান। এই বোনাস পাবেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব প্রান্তের যোগ্য কর্মীরা। যোগ্য বলতে বোঝানো হয়েছে গত ৩১ মার্চের আগে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছে, এমন কর্মীদেরকে। এমনকি খণ্ডকালীন এবং কর্মঘণ্টা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও এই বোনাস পাবেন। তবে এই বোনাসটি করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট বা তার ওপরের পদের কর্মকর্তাদের জন্য নয়।
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে মাইক্রোসফটের কর্মী হিসেবে কাজ করেন প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৮ জন। লিংকডইন, গিটহাব ও জেনিম্যাক্স মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন হলেও এদের কর্মীরা এই বোনাসের আওতায় পড়বেন না। অর্থাৎ বলা চলে কর্মীদের জন্য মাইক্রোসফটের এই উপহার প্রায় ২০ কোটি ডলারের, যা প্রতিষ্ঠানটির দুই দিনের মুনাফার চেয়েও কম।
মাইক্রোসফট ছাড়াও সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোও কর্মীদের অতিমারি বোনাস দিয়েছে। ফেসবুকের ৪৫ হাজার কর্মীকে উপহার দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ডলার করে। আমাজন তাদের সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য বোনাস দিয়েছে ৩০০ ডলার করে। অন্যদিকে ব্রিটিশ টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিটি তাদের ৬০ হাজার কর্মীর প্রত্যেককে দেড় হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বোনাস দিয়েছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছেন, করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অলাভজনক সংস্থাগুলোতে দান করেছে ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে তাদেরকে আরও ৬ কোটি ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। অন্যদিকে করোনাকালের শুরু থেকে মোট ১৬ হাজার কোটি ডলার আয় করেছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত এগিয়েছে ক্লাউড সেবা, ল্যাপটপ ও এক্সবক্স বিক্রি এবং উইন্ডোজের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়।