মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করা মাত্রই ডুবে যায় ফেরি শাহ্ আমানত। তথ্যসূত্রে জানা যায়, মাঝনদীতে থাকতেই পানি ঢুকতে শুরু করে ফেরির মধ্যে। ফেরিতে অবস্থানরত যাত্রী আবদুর রাজ্জাক এর সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রথম আলো এ কথা জানায়।
রাজ্জাক বলেন, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে ফেরিটি যখন মাঝনদীতে পৌঁছায়, তখনই সামনের দিকে ডান পাশে থাকা এক ছিদ্র দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। এ সময় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি, দুটি প্রাইভেট কার ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ছিল ফেরিতে।
ফেরিতে পানি উঠার ঘটনায় স্টাফসহ যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে ফেরির মাস্টার ইঞ্জিনের গতি বাড়িয়ে দেন। এতে করে কিছু সময়ের মধ্যেই ফেরিটি পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়। নিরাপদে গাড়িগুলোকে নামাতে পন্টুনের সঙ্গে রশি বাঁধার আগেই ফেরির ডালা নামিয়ে দিলে দুটি ট্রাক ফেরি থেকে নেমে যায়।
এরপর আরেকটি ট্রাক অর্ধেকটা নামলে ফেরি কাত হয়ে যাওয়ায় ট্রাকটি পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যায়। এরপর একে একে পরতে থাকে বাকি যানবাহন। শুধু সেই দুটি ট্রাক ছাড়া রক্ষা হয়নি আর কোনো গাড়ির।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে ফেরি শাহ্ আমানত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়।
বর্তমানে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে শাহ্ আমানত কাত হয়ে ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মানিকগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আসা একাধিক দল উদ্ধারে কাজ করছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান বলেন, ফেরিতে বাড়তি কোনো গাড়ি, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ছিল কি না জানা নেই। তবে শুনেছেন, কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।