মিশররের বিখ্যাত ক্বারি শাইখ আওইদা’র বাড়ি মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) সেদেশের ক্বানা প্রদেশের এনডাউমেন্ট অর্গানাইজেশন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রসিদ্ধ ক্বারির বাড়িটি মসজিদে রূপান্তর করা হয়।
এই মসজিদরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্বারি শাইখ আওইদা’র সন্তানগণ, তার শুভাকাঙ্খিগণ এবং পার্লামেন্টের কিছু সদস্য। ক্বারী শাইখ আওইজা কুরআনের সেবায় তার সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি ২০১২ সালে ইন্তেকাল করেন। তখন তার বয়স ছিল ৯২ বছর।
মিশরের ক্বানা প্রদেশেরে আশ-শুউন এলাকায় এই সাধারণ বাড়িটি তিনটি অংশে বিভক্ত করা। এই বাড়ির একাংশে কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়াত হত, অপর একাংশে শিশুদের কুরআন হেফজ করানো হতো এবং শেষাংশে নরীদের কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়াত হত। তার ছাত্ররা বাড়িটি মসজিদে রূপান্তরিত করেছেন। মসজিদে রূপান্তরিত হওয়া পূর্বে বর্তমানে ক্বানা এন্ডোয়েমেন্ট অর্গানাইজেশন এই মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের পর উদ্বোধন করেছে।
শেখ মোহাম্মদ আওইদা ১৯৪৭ সালে মিশরের সুয়েজ শহরে গিয়ে শেখ আহমদ তাওসের কাছে পড়াশোনা করেন। ১৯৫২ সালে তিনি তার জন্মস্থান ক্বাবা প্রদেশের আশ-শুউন এলাকায় ফিরে আসেন। তার জীবনের বড় একটা অংশ তিনি সপ্তম পন্থায় কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন। তিনি তার নিজের ছোট বাড়িতে বিনামূল্যে কুরআন প্রশিক্ষণ দিতেন।
শেখ আওইদাহ ততটা শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু তার অনন্য ক্ষমতার কারণে তিনি নিজ হাতে লিখিত মিশরের বিভিন্ন ক্বারিদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমোদনপত্র প্রদান করতেন। তার নিকট হতে যে সকল ক্বারিগণ এই অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেছেন মিশরে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখা হয়।
মিশরের এই বিখ্যাত ক্বারি ৫০ বছর ধরে আশ-শুউন এলাকায় তার নিজস্ব দারুল কুরআনে প্রতিদিন ছাত্রদের কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দিতেন। মিশরে এই দারুল কুরআন বেশ খ্যাতি অর্জন করেছ। তের বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৭৯-এর দশকে কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।