● বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 25, 2024 | 11:46 অপরাহ্ন

খোশ আমদেদ মাহে রমযান

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

রমজানুল মোবারক বান্দার জন্য আল্লাহ তা’আলার অনেক বড় নেয়ামত। এই মাসের দিবস-রজনীকে আল্লাহ তা’আলা খায়ের ও বরকত দিয়ে পূর্ণ করে রেখেছেন। তাকওয়া অর্জনের সকল আমলের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাস নয়; গোটা বছরের তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে । গোটা বছরের ঈমানি প্রস্তুতি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলে কারীম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলার কসম ! মুসলমানদের জন্য এর চেয়ে বড় উত্তম মাস আর নেই এবং মুনাফিকদের জন্য এর চেয়ে ক্ষতির মাস আর নেই। কেননা মুসলমান এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সঞ্চয় করে।’

আরও বলেছেন, এ মাস মুমিনদের জন্য গণিমত এবং মুনাফিকদের জন্য ক্ষতির কারণ।[মুসনাদে আহমাদ ২/৩৩০, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/১৪০] এই হাদীসটি সহীহ ইবনে খুযাইমাতেও ( হাদীস: ১৮৮৪) শব্দের সামান্য পার্থক্যসহ বিদ্যমান রয়েছে। এ হাদীস থেকে বোঝা গেল যে, রমজানের খায়ের ও বরকত খেকে বঞ্চিত থাকা মুনাফিকদের আলামত। আল্লাহ তা’আলা আমাদের নিফাক থেকে রক্ষা করুন এবং মুমিনের মতো এ মাসকে বরণ করার তাওফিক দান করুন এবং মুমিনের মতোই এই মুল্যবান সময়কে কাজে লাগানোর তাওফিক নসিব করুন।

আল্লাহ তা’আলা এ মাসে সৃষ্টিজগতে এমন অনেক অবস্থা ও পরিবর্তনের সূচনা করেন যা গোটা পরিবেশকেই খায়ের ও বরকত দিয়ে ভরপুর করে দেয়। হাদীস শরীফে আছে, এ মাসে আল্লাহর হুকুমে জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয়। বড় বড় জিন ও শয়তানকে বন্দি করা হয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষণা করতে থাকে- ‘হে কল্যাণ-অন্বেষী! অগ্রসর হও, হে অকল্যানের পথিক ! থেমে যাও।’ এসবের প্রভাব রমযান মাসে চেতনে-অবচেতনে ভালো কাজের দিকে আগ্রসর হতে থাকে।সৌভাগ্যশালী ওইসব ব্যক্তি, যারা এই আসমানি প্রেরণার মূল্য দেয় এবং হিম্মতের সঙ্গে কর্মের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মনে রাখা উচিত যে, প্রকৃতপক্ষে রমজান হল আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করার উপযুক্ত সময়। এ মাসের সময়গুলো বেশি ইবাদত-বন্দেগীতে অতিবাহিত করা উচিত। ফরয রোযা ও তারাবির পাশাপাশি অন্তত সেহরীর সময় তাহাজ্জুদ এবং কিছু পরিমাণে হলেও যিকির ও তিলাওয়াত প্রত্যেকেরই করা উচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যে এতখানি মগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, ফরয নামাযের জামাত ও তারাবীহ ছুটে যায়। এছাড়া ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা এবং সুদ ও জুয়া সহ অন্য সকল হারাম কাজকর্ম থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরয, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কেননা, বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহও অত্যন্ত কঠিন ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...