1. kzuoadmin@haquekotha24.net : :
  2. tmevadmin@haquekotha24.net : :
  3. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  4. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  5. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  6. najmulnayeem5@gmail.com : নাজমুল নাঈম : নাজমুল নাঈম
  7. iucxadmin@haquekotha24.net : :
  8. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

গহিন অরণ্যে রহস্যময় ফুটন্ত নদী

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
গহিন অরণ্যে রহস্যময় ফুটন্ত নদী

নদীর পানি টগবগ করে ফুটছে এমন এক রহস্যময় নদীর খোঁজ মিলেছে আমাজনের গহিন অরণ্যে। সেখানে পানির গড় তাপমাত্রা ৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই নদীর পানিতে জীবন্ত প্রাণী পুড়ে মারা যায়। পেরুর ভূবিজ্ঞানী আন্দ্রেজ রুজো রহস্যময় এ নদীর খোঁজ পেয়েছেন। ২০১৪ সালে টেডএক্স-এর এক বক্তৃতায় এ নদী নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা ও গবেষণালব্ধ প্রায় সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাজনে এবং পেরুর বেশির ভাগ অংশে কোনো আগ্নেয়গিরি নেই। যে স্থানটিতে এই ফুটন্ত নদী রয়েছে তা নিকটতম আগ্নেয়গিরির কেন্দ্র থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে।

তিনি বলেন, “সত্যি বলতে আমি রূপকথার গল্পে থাকা আমাজনের সেই উষ্ণ-প্রস্রবণ দেখতে পেয়েছি। আমি অনেক দূর থেকেই নদীটির মৃদু তরঙ্গ শুনতে পেয়েছিলাম। যা কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। এরপর যত কাছে যাই গাছের মধ্য দিয়ে তত ধোঁয়া ও বাষ্প উঠে আসতে দেখি। অতঃপর আমি দেখতে পেলাম এক আশ্চর্য নদী। যেই নদীর পানি টগবগ করে ফুটছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পানিতে থার্মোমিটার ধরলাম এবং গড় তাপমাত্রা ছিল ৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। নদীটি গরম ছিল এবং দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছিল।’ এই নদীকে অনুসরণ করে আন্দ্রেজ রুজো কিছুদূর পর্যন্ত বারবার এগিয়ে গিয়ে আবার পিছিয়ে আসছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, বিস্তারিত অভিজ্ঞতা নেওয়া।

তিনি এই নদীতে একটা অদ্ভুত বিষয়ও লক্ষ্য করেছেন। তা হলো—নদীর পবিত্র স্থান শামানের আখড়া থেকে ঠান্ডা স্রোতের প্রবাহ রয়েছে। আন্দ্রেজ রুজো বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই প্রথম বহিরাগত ছিলাম না, যে নদীটি দেখেছি। এটা শামানদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা এ নদীর পানি পান করে। এর বাষ্প গ্রহণ করে। রান্নার কাজে ব্যবহার করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সারে। এমনকি নদীর পানি দিয়ে ওষুধও তৈরি করে।’ আন্দ্রেজ রুজো আরো বলেন, ‘নদীর ধারের তাপমাত্রা মাপ করেছি। সেখানে এর ফলাফল ছিল অবাক করার মতো। শুরুতে নদী ঠান্ডা হতে শুরু করছে—তারপরে উত্তপ্ত হয়ে আবার ঠান্ডা হচ্ছে। আবার উত্তপ্ত হয়ে আবার ঠান্ডা হচ্ছে, আবার উত্তপ্ত হচ্ছে এবং যতক্ষণ না ঠান্ডা পানির নদীতে গিয়ে মিশছে।’

আন্দ্রেজ রুজো এই নদীতে বিভিন্ন প্রাণীকে মরে পড়ে থাকতেও দেখেছেন। এটা তাকে অবাক করেছে। প্রাণীগুলো যখন নদীর পানিতে পড়ে, প্রথমেই প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে প্রাণীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখ খুব তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়। এরা সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করতেই থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে এদের পেশি ও হার সেদ্ধ হতে শুরু করে। উত্তপ্ত পানি প্রাণীর মুখে গিয়ে ভেতর থেকে সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে একসময়, তারপর এগুলো শক্তি হারাতে থাকে। মারা যায় প্রাণীগুলো। 

গহিন অরণ্যে রহস্যময় ফুটন্ত নদী

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
Share via
Copy link
© ২০২৩- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )
Share via
Copy link