● বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 25, 2024 | 12:40 অপরাহ্ন

জেনে রাখা ভালো

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা যা জেনে রাখা ভালো

রাতের বেলা যদি একা একা হাঁটেন আর বুঝতে পারেন যে পিছনে কেউ আছে, তাহলে শুধু ঘাড় না ঘুরিয়ে পুরো শরীর ঘুরিয়ে দেখবেন। শুধু ঘাড় ঘুরালে মটকে দেওয়ার সম্ভবনা আছে।

যদি কখনো ঘর, মসজিদ ও বিছানার উপর সাপ দেখতে পান, তাহলে প্রথমে চলে যেতে বলবেন। কারণ জ্বীন সাপের রূপ ধারণ করে থাকেন। মারলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। আর যদি চলে না যায়, তবে বুঝে নিবেন সেটা আসলেই সাপ। তখন মারবেন বা তাড়িয়ে দিবেন।

রাতের বেলা যদি দেখেন যে, কোনো ডাল বা বাঁশ ঝুঁকে পড়েছে, তখন তার উপর বা নিচ দিয়ে যাবেন না। গেলে ক্ষতি হতে পারে। আয়াতুল কুরসি পড়বেন। ক্ষতির কোনো আশংকা থাকলে সরে গিয়ে ঠিক হয়ে যাবে তখন যাবেন।

গভীর রাতে বাহির থেকে কেউ আপনার নাম ধরে একবার ডাকলে সাড়া দিবেন না। ৩ বার ডাকার পর সাড়া দিবেন। দেখে বুঝে সতর্কতার সহিত বের হবেন।

আপনার রুমে এসে যদি দেখেন যে, আপনিই রুমে বসে আছেন, মানে নিজেই নিজেকে দেখতে পান, তাহলে ভয় পাবেন না। সেটা আপনার সাথে থাকা (কারিন জ্বীন)। শুধু চোখ বন্ধ করে আয়াতুল কুরসি পড়বেন ও তারপর চোখ খুলবেন।

পুকুরে গোসল করার সময় যদি বুঝতে পারেন কেউ একজন আপনার পা ধরে টান দিচ্ছে সাথে সাথে দোয়া উইনুস পড়বেন। কারণ পুকুরে বা নদীতে জ্বীন থাকে।

রাতের বেলা কোনো কুকুর যদি আক্রমণ করতে আসে আর কুকুরটিকে দেখে অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে মাটিতে একটি বৃত্ত আঁকবেন। তার ভিতর দাঁড়িয়ে আয়াতুল কুরসি পড়বেন।

রাতের বেলা যদি পথ হারিয়ে একই পথে বারবার ফিরে আসেন বা অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটার পরেও গন্তব্যস্থলে যেতে না পারেন, তখন সাহস না হারিয়ে আজান দিবেন। কারণ গয়রান নামক জ্বীন আপনাকে ঘুরাচ্ছেন।

রাতে ঘুমরে মধ্যে যদি বুঝতে পারেন যে আপনার বুকের উপর কেউ ভর করে আছে, তখন চিৎকার দিবেন না। কারণ আপনার চিৎকার মুখ দিয়ে বের হবে না। ওই মুহূর্তে আপনার জানা যেকোনো সূরা বা আয়াত পাঠ করবেন।

যদি কোনো মরা মানুষের আত্মা দেখতে পান, তাহলে ভয় না পেয়ে সালাম দিয়ে চলে যাবেন।কারণ ওটা আত্মা নয় জ্বীন। জ্বীন ওই মরা মানুষের রূপ ধারণ করেছে।

লোকমুখে প্রচলন আছে কবরস্থান একটি পবিত্র স্থান। কথাটি ঠিক। তবে কবরস্থানে ঘুল নামক জ্বীন থাকে। তাই পবিত্র স্থান হলেও সতর্কতার সাথে চলবেন।

আয়নার মধ্যে জ্বীন প্রবেশ করতে পারে। তাই গভির রাতে আয়না না দেখাই ভাল। আর আয়নাতে সবসময় পর্দা দিয়ে রাখবেন। বাথরুমে আয়না না রাখাই ভাল। কারন বাথরুমে খান্নাস নামক জ্বীন থাকে, যদিও দুর্বল জ্বীন । আর আয়নার সামনে গিয়ে এই দোয়া পাঠ করবেন, “আল্লাহুম্মা আনতা হাসানতা খালকি ফাহাসিন খুলুকি”।

বাসার ছাদের ওপর জ্বীন বসবাস করে। তাই গভীর রাতে একলা ছাদে যাবেন না,আর গেলেও কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন।

যদি আপনি একা একা কোন মিষ্টি বা পিঠা জাতীয় কিছু খাওয়ার সময় দেখেন যে কোনো বিড়াল আপনাকে ডিস্টার্ব করছে, তখন তাকেও খেতে দিন। বিড়ালকে কখনােই তাড়িয়ে দিবেন না বা মারবেন না। কারণ অনেক সময় জ্বীন-ও বিড়ালের আকৃতি ধারন করে আসে। মিষ্টি জাতীয় জিনিস তাদের প্রিয় খাবার।

মাগরিবের সময়, ঠিক দুপুরবেলা, রাত ১২টা ও অমাবস্যার সময় জ্বীনদের প্রভাব বেশি থাকে। তাই এই সময় সর্তক থাকবেন। ছােট বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন, বিশেষ করে মাগরিবের সময় বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা বন্ধ করবেন।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...