গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্লাসে প্রবেশ করে ছাত্রীদের হিজাব খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। গত রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নের বান্ধাবাড়ী গ্রামে অবস্থিত জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ক্লাসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা ক্লাস চলছিল। হঠাৎ ওই ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক ক্লাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান থামিয়ে দেয়। তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন- বিদ্যালয়ে বোরকা ও হিজাব পরে আসা চলবে না। হিজাব পরে নয়, খোলা চুলে ক্লাসে এলে তোমাদের আরও ভালো লাগবে। তার এসব কথা শুনে ছাত্র-ছাত্রীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এসময় তিনি নিজের হাতে একাধিক ছাত্রীর শরীর থেকে হিজাব ও চুলের স্কার্ফ খুলে টেবিলের ওপর রাখেন এবং ১০ম শ্রেণির ছাত্র অর্ণব দাস ও সলিমুল্লাহ জানায়, চেয়ারম্যান বিনা কারণে তাদের চুল ধরে শারীরিক নির্যাতন করেন।
বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান মোল্লা জানান, ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। একজন চেয়ারম্যান এমন ঘটনা ঘটাতে পারে এটা ভাবতেও অবাক লাগে। আমরা এলাকাবাসী এর বিচার চাই।
বান্ধাবাড়ী জেবিপি বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শামীম আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলাম। এসময় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক ক্লাসে প্রবেশ করে ছাত্রীদের বোরকা পরে ক্লাসে আসতে নিষেধ করেন। এমনকি তিনি নিজ হাতে অনেকের হিজাব খুলে টেবিলের ওপর রাখেন।
বিষয়টি নিয়ে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে তাড়িয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি, তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।