মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য পরীক্ষামূলক মিশন শুরু করেছে। গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো ডার্ট নামে একটি যান মহাকাশে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। মহাকাশযানটি আঘাত হানবে ডাইমফোর্স নামে একটা গ্রহাণুর ওপর। এর ফলে তার কক্ষপথ এবং গতিবেগে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বলা হচ্ছে, এটিই মানুষের প্রথম পরীক্ষা – যেখানে পৃথিবীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাঝে মাঝেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে অসংখ্য গ্রহাণু। পৃথিবীতে সেটি আঘাত হানবে কি না তা নিয়ে শুরু হয় উদ্বেগ। ধারণা করা হয়, ১৬০ মিটার চওড়া কোনো গ্রহাণু যদি পৃথিবীর জনবহুল কোনো এলাকায় আঘাত হানে তাহলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হবে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে। আর ১ কিলোমিটারের চেয়ে বড় আকারের গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে তাতে বিশ্বজুড়েই ক্ষয়ক্ষতি হবে।
ডার্ট নামের যানটির উচ্চতা মাত্র ১৯ মিটার। অন্যদিকে যে গ্রহাণু দুটিতে আঘাত হানতে যাচ্ছে তাদের চওড়া ৭৮০ মিটার এবং ১৬০ মিটার। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এর আঘাত গ্রহাণুটির গতিপথে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে পারবে না। তবে, পৃথিবীকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করতে যতটুকু প্রয়োজন তা এই যানটি দিয়ে সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
মিশনের একজন বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলছেন, “বড় গ্রহাণুর চেয়ে ছোট গ্রহাণুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই পৃথিবীতে যদি আদৌ কখনো গ্রহাণু আঘাত হানে – তাহলে সেটা ছোট আকারের হবার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে।”