বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণপূর্ব দিকে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি গতিবেগ প্রতিমুহূর্তে বেড়েই চলেছে। এখন এর সর্বোচ্চ গতিবেগ চলছে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এখন এর গতিপথ পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিমমুখী। এটি এখানে অবস্থান করবে আগামিকাল পর্যন্ত। যখন এটি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের মাঝামাঝি বা কেন্দ্র চলে আসবে, তখন আশঙ্কা করা যাচ্ছে, এটি উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।
আজ (১০ মে) বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ এ তথ্যই জানা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে যখন আগামী ১৪ মে রোববার বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যার দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে, তখন আরও স্পষ্ট করে এর গতিপথ বোঝা যাবে।’
ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এরপরই এর দিক পরিবর্বতন হতে পারে বলে জানালেন, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় “মোখা” জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে দেশের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এজন্য নির্দেশ দিয়েছেন পাকা ধান ও পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য।