বাংলাদেশের এক সময়ের শ্রেষ্ঠ ধনী ছিলেন জহিরুল ইসলাম। অঢেল টাকা-পয়সা আর ধন-সম্পত্ত্বির মাঅধিকারী ছিলেন তিনি।খাদ্য তালিকায় দুধ ছিল তার বেশ পছন্দের। নিজে খুব সাধ মিটিয়ে দুধ পান করার জন্য খুব সখ করে তিনি নিজ জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে কয়েক একর জমিতে বিশাল একটি দুগ্ধখামার প্রতিষ্ঠা করেন।খামেরে যে দিন প্রথম দুধ সংগ্রহ করা হয় সেদিন খামারের কর্মকর্তারা প্রথম দুধটুকু খামারের মালিক জহিরুল ইসলামকে পান করানোর ইচ্ছা করেন। কর্মকর্তারা দুধ নিয়ে উপস্থিত হন জহিরুল ইসলামের কাছে। একটি গ্লাসে দুধ ঢেলে তার হাতে তুলে দেন। তিনি হাতে দুধ নিয়ে মুখে দেওয়ার আগেই তিনি মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুর। সেখানে তাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা হয়। দেশে ফেরার আগে ডাক্তার আসেন তার কাছে। ডাক্তার বললেন আপনি সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বাছ বিচার করে খাদ্য তালিকা করতে হবে। প্রথেমেই আপনাকে দুধ পান করা ছাড়তে হবে। তৃ্প্তি মিটিয়ে দুধ পান করা হলোনা আর তার।
উপদেশঃ মানুষ যা চায় তা হয় না, মালিক যা চান তাই হয়।