● বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 25, 2024 | 05:39 পূর্বাহ্ন

জুমার দিনে যেসব সুরা পড়া উত্তম

জুমার দিনে যেসব সুরা পড়া উত্তম

রাসুলুল্লাহ (সা:) জুমার দিনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। রাসুল (সা:) বলেন, সাত দিনের মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। এই দিনে সব সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

প্রিয় নবি রাসুল (সা:) তার উম্মতদের এই দিনের কিছু বিশেষ আমল শিখিয়েছেন, যার দ্বারা সপ্তাহব্যাপী হয়ে যাওয়া সগিরা গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়। এই দিনে বিশেষ আমলের মধ্যে পবিত্র কুরআনেরও কিছু সুরা তিলাওয়াত করলে অশেষ নেকি হাসিল হবে বলে রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

সুরা কাহফ : আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাকি, সুনানে সুগরা, হাদিস : ৬৩৫; বায়হাকি, সুনানে কুবরা, হাদিস : ৫৭৯২)।

সুরা দুখান : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৮৯)

ফজর ও জুমার নামাজে বিশেষ সুরা : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা:) জুমার দিন ফজরের নামাজে ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুস সাজদাহ’ (সুরা আস সাজদাহ) ও ‘হাল আতা আলাল ইনসা-নি হিনুম মিনাদ দাহর’ (সুরা আদ দাহর) এবং জুমার নামাজে সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পাঠ করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৯১৬)

কোনো কোনো বর্ণনায় সুরা ইয়াসিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। শুধু সুরা ইয়াসিন নয়, পবিত্র কুরআনের সব সুরাই বরকতপূর্ণ, তাই জুমার দিন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যেকোনো সুরাই তিলাওয়াত করা যেতে পারে।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...