গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোরকা-হিজাব নিয়ে সমালোচনা করার অভিযোগ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক হাওলাদার অভিযোগের দায়মুক্তি পেতে তওবা করে ক্ষমা চেয়েছেন। বুধবার বিকেল ৩টায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, গোপালপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কবিরুল ইসলাম, হিরণ ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম সাফায়াত হোসেন, কাজুলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা মোজাফ্ফার হোসেন, মাওলানা আনসার উদ্দিন, বান্ধাবাড়ী লোহারভিটা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আ. জলিল, মাওলানা মেদেী হাসান, মাওলানা মানজুরুল হক, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, ক্বারী বশির আহম্মেদ, উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল এবং মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের উপস্থিতিতে তিনি তওবা করে ক্ষমা চান।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বান্ধাবাড়ী জগৎবন্ধু পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরে স্কুলে আসা যাবে না এবং ছাত্রীদের মাথা থেকে ব্যান্ড, ক্লিপ খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারটি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন সেখ বলেন, ঘটনার সময় সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সমস্যার সমাধান করেছি এবং চেয়ারম্যান ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।