● শুক্রবার, এপ্রিল 26, 2024 | 06:06 পূর্বাহ্ন

তাহাজ্জুদ নামাজ

তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত

ফরজ নামাজের পর যত প্রকার নফল নামাজ আছে তার মধ্যে তাহাজ্জুদের ফজীলত সবচেয়ে বেশী ।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন, ফরজ নামাজের পর সমস্ত নফল নামাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদার নামাজ গভীর রাতের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ।
(মুসনাদে আহমদ-৮১৫১,শুআবুল ঈমান-২৯৫৩)

  • হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে আরও বর্ণিত তিনি বলেন, নবী
    সা. বলেছেন, রমজানের পর শ্রেষ্ঠ রোজা মুহাররমের রোজা।
    আর ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো তাহাজ্জুদের
    নামাজ। ( নাসায়ি শরিফ-১৫৯৬, দারেমি-১৫২৮)
  • হযরত আবু মালেক আশআরী রা. বলেন, নবী কারীম সা.
    বলেছেন, জান্নাতে এমন কিছু কামরা রয়েছে যার ভিতর থেকে
    বাহির দেখা যায়। আর বাহির থেকে ভিতর দেখা যায়।
    আল্লাহপাক সে গুলো ঐসব লোকদের জন্য তৈরী করেছেন
    যারা মেহমানদারী করে, বেশী বেশী সালাম দেয় এবং রাতের
    বেলায় নামাজ পড়ে যখ অন্যরা ঘুমিয়ে থাকে।
    (ইবনে হিব্বান-৫১০)
  • হযরত আবু উমামা বাহেলী রা. বলেন , নবীজী সা. বলেছেন
    তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়, কেননা তাহাজ্জুদের নামাজ
    হলো তোমাদের পুর্ববর্তি নেককার লোকদের তরীকা এবং
    আল্লাহ তায়ালার কাছে তোমার নৈকট্য লাভের উপায়। আর
    তোমাদের গুনাহ মোচনকারী ও পাপ থেকে বাঁধা দানকারী।
    (তিরমিযি শরিফ-৩৪৭২, তবরানি-৬০৩১)
  • হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী কারীম
    সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে জাগ্রত হয় এবং নিজের স্ত্রীকে
    জাগিয়ে দেয় অতঃপর উভয়ে এক সাথে দুই রাকাত নামাজ
    পড়ে, তাদের উভয়কে অধিক যিকিরকারীদের তালিকাভুক্ত করা
    হয়। (আবুদাউদ শরিফ-১২৩৯, ইবনে মাজাহ শরিফ-১৩২৫)

তাহাজ্জুদের নামাজ বড় ফজীলতের নামাজ । যারা নিয়মিত এ নামাজ পড়েন তারা অতি তাড়াতাড়ি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রিয় হতে পারেন। এমন কোন ওলীআল্লাহ ও পীর বুযূর্গ গত হন নি, যাহারা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েননি। তাহাজ্জুদের নামাজ ছাড়া কেউ কোন দিন আল্লাহর ওলী বা বুযূর্গ হতে পারে না । আমরাও যদি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত হতে পারি আমরাও আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হতে পারবো।

হযরত আবু দারদা (রাঃ) বলেন, নবী কারীম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি এই নিয়তে ঘুমায় যে শেষ রাতে উঠে সে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবে, কিন্তু ঘুম অত্যান্ত গভির হওয়ার কারণে আর উঠতে পারলো না, তা হলেও তাকে তাহাজ্জুদের সাওয়াব দেওয়া হবে এবং তার ঘুম সাদকা হিসেবে গণ্য হবে।
( ইবনে মাজাহ শরিফ-১৩৩৪,ইবনে খুযাইমা-১১১০)

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...