কবিতার তুলি দিয়ে আঁকতে চাই একটি গল্প।
গল্প নয় সত্য_
এই যে আকাশ সীমাহীন,
স্তরে স্তরে সাজানো জমিন,
একা একা নিরালা বিশাল বিশাল পাহাড়
পদতলে অজস্র সমুদ্র সুগভীর।
পৃথিবীর সেরা সুন্দরী রমণী অধিক সুন্দর এই চাঁদ,
তীব্র শীতে কাটিয়ে দেওয়া দীর্ঘ রাত
যার প্রতিক্ষায়
সেই সূর্যকেও সৃষ্টি করা হয়েছিল এই মাসেই।
এই-যে মননে গড়নে নানান জাতের মানুষ
এদের সবার আদি পিতা যিনি তাঁকে,
জাতির পিতা যিনি তাঁকে,
ইঞ্জিল যার উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তাঁকে
পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল এই দিনে_
মহররমের দশ তারিখ!
এক বড্ড ভয়ংকর তারিখ।
নরপিশাচ ইয়াজিদের সেনা সীমার
পাশবিকে বাহাত্তর শহীদের রক্তে গোলাপের মতো লাল হয়ে উঠেছিল ফোরাতের জলধারা।
বিশ্বাসঘাতকের সে নির্মম কাণ্ডকারখানাতে
আহাজারি শুরু করেছিল পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষতরু।
ঘৃণায়, ক্ষোভে কান্নায় জল উদ্বেলিত হবার উপক্রম
ফেটে বক্ষ মরু।
হয়তো হুসাইন ইবনে আলীর বক্ষ ভেদ করা সীমারের
দুই গালে চপেটাঘাত করতে উদ্যত হয়েছিল
ইব্রাহিমকে বাঁচিয়ে দেওয়া সেই অগ্নিকুণ্ড!
উত্তাল হয়েছিল ফেরআউনকে অভিঘাতে ডুবিয়ে মারা
নীলের সে প্রতিটা জলধারা!হয়তো প্রিয়নবী মুহাম্মদের (সঃ) দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলীকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল ইউনুসকে(আঃ) পেটে আশ্রয় দেওয়া
সেই মাছটিও।
হয়তো উদ্ধার করতে চল্লিশ দিন পরে তীরে ভেড়া নূহের তরীটাও ইরাকের জলসীমায় প্রবেশ করতে প্রস্তুত হয়েছিল।
ওরাই যে দশ তারিখের প্রত্যক্ষ সাক্ষী!
দশ তারিখের কোনো অঘটন, অন্যায় যে ওরা সইতে না পারে!
ওরা প্রত্যেকেই দশ তারিখকে পুঙ্খানুপুঙ্খ চেনে।
মহররমের দশ তারিখ।
কবি পরিচিতি- মুতাছিম বিল্লাহ নয়ন চাঁদখালী, পাইকগাছা, খুলনা মোবাইল- 01867308215