নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস দল উদ্ধার কাজ এখনো অব্যাহত রেখেছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ৬ তলা ভবনের ৪ তলা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫০ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ডেমরা, কাঞ্চন, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। আগুনের ব্যাপকতা কিছুটা কমে যাওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
কারখানার শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা জানিয়েছেন, এখনও অনেক শ্রমিক ওই ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ৬ তলা ভবনের ৪ তলা তালাবদ্ধ থাকার কারণে কোনো শ্রমিক বের হতে পারেননি। ৪ তলা তালাবদ্ধ না থাকলে এতো প্রাণহানি হতো না। প্রতিদিন ৪ তলায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।
চতুর্থ তলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রাহিমা, রিপন, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, তাছলিমাসহ প্রায় ৬০-৭০ জন শ্রমিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা আপনজনের খোঁজে ফ্যাক্টরির সামনে ভিড় জমায়। কারখানার সমানে নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে ওঠে।
এদিকে শুক্রবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উদ্ধার কাজও চালায় ফায়ার সার্ভিস। ৬তলা ভবনের ৪ তলা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, পুরো ভবনের উদ্ধার কাজ শেষে লাশের সংখ্যা আরও রাড়তে পারে।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ওসমান গনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরু থেকেই ডেমরা ফায়ার সার্ভিস নিরলসভাবে কাজ করছে। সাথে আরও ১৭ টি ইউনিট কাজ করছে। কিন্তু ৬তলা এ ভবনটিতে পরিস্থিতি একটু জটিল মনে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।