দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে একটি বড় অংশ দখল করে রাখা ১২টি বিমান নিয়ে অভিনব সংকটে পড়ে গেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এই বিমানগুলো পার্কিং চার্জ না দিয়েই দীর্ঘদিন কার্গোতে পড়ে আছে। তাই ওই ১২টি প্লেন নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক। তবে নিলামে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে বিমানগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) বেবিচক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিলামের কর্মপদ্ধতি এবং সুপারিশমালাও দিয়েছেন। এখন কেবল নিলাম আয়োজন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ২টি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও এভিয়েনা এয়ারলাইন্সের ১টি করে উড়োজাহাজ রয়েছে। এই ১২টি উড়োজাহাজে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে আছে সর্বোচ্চ বকেয়া। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।
জিএমজি এয়ারলাইন্স ২০১২ সালে তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেন। এরপর এই সংস্থার বিমান আর কোনো দিন ওড়েনি । রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছ থেকে বকেয়ার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা।
২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় রিজেন্ট, কিন্তু তার আগেই সংস্থাটি বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেন। এর বাইরে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা। ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বিমান কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। এই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যে কর্তৃপক্ষ এসব বিমান নিলামে তুলছে।
ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিলামের কর্মপদ্ধতি ও সুপারিশমালাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম তৌহিদুল আহসান ।