পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট বল্টু খোলার ঘটনায় গ্রেপ্তার বায়জিদ তালহার (৩০) গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামে ওই যুবকের বাড়িতে হামলা করা হয়। তালহার বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নামে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বায়জিদ উপজেলার তেলিখালী গ্রামের আলাউদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বায়জিদ ছোট। বড় ভাই আহমেদ আলী খুলনায় চাকরি করেন। মেজ ভাই সোহাগ মৃধা ঢাকায় চাকরি করেন। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে সোহাগের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বসবাস করছেন।
পদ্মা সেতুর নাট খোলার পর বায়জিদ তালহাকে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বায়েজিদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বায়জিদের গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
বায়জিদের ভাবি খাদিজা আক্তার জানান, বিকেল চারটার দিকে সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে বসতঘরে ভাঙচুর চালায়। তিনি বলেন, বায়জিদের বৃদ্ধ বাবা মো. আলাউদ্দিন মৃধা ও মা পিয়ারা বেগম ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে তিনি একা থাকেন। এই হামলার পর তিনি আতঙ্কে আছেন। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নামে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি হৃদয় আশীষ বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় সম্পদ। পদ্মা সেতুর নাট খুলে তাচ্ছিল্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বায়জিদের ওপর খেপেছেন। স্থানীয় জনতা এর প্রতিবাদ করেছেন। এর সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত না।
এদিকে হামলার পর বিকেলে পুলিশের একটি দল বায়জিদের গ্রামের বাড়িতে যায়। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।