ফাইভজি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এ খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পঞ্চম প্রজন্মের এ টেলিকম সেবা মানুষের সময় ও অর্থ দুটোকেই বাঁচাবে। দুর্গম স্থানে মানুষের পরিবর্তে ড্রোন পাঠিয়ে যে কোনো কাজ মুহূর্তের মধ্যেই করা যাবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে রোবট কিংবা গাড়ি। ঘরে বসেই পাওয়া যাবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
মানব ও শিল্পবর্জে দেশের নদ-নদীর পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। দূষণের মাত্রা জানতে পানির নমুনা সংগ্রহ এরপর ল্যাবে পরীক্ষা করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এক্ষেত্রে ফাইভজি প্রযুক্তি কাজে লাগবে। উচ্চগতির এই টেলিকম সেবা ব্যবহার করে চাইলেই ড্রোন পাঠিয়ে মুহূর্তেই নদীর যে কোনো জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। সেকেন্ডের মধ্যে পানি পরীক্ষা করে মান বিপদসীমার ওপরে না নিচে তা জানা যাবে।
ফাইভজিতে সর্বনিম্ন গতি থাকবে ২০ এমবিপিএস। দ্রুতগতির এ প্রযুক্তি দেবে কৃত্রিম বাস্তবতার স্বাদ দেবে সাধারণ মানুষকে। ঘরে বসেই ফাইভজি ভিআর চোখে পড়ে বরফের ওপর স্কেটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, চালক ছাড়াই নগরীর ব্যস্ত রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়িয়েই চলবে গাড়ি। আগামীতে শিল্পকারখানায় চলে যাচ্ছে রোবটিকস প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে। আর সেই রোবটে প্রাণস্পন্দন দিবে ফাইভজি।
এসব বাস্তবতা বিবেচনা করেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শিল্পাঞ্চল, হাইটেক পার্কগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফাইভজির সেবার আওতায় আনার কথা জানান । বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে গত ১২ ডিসেম্বর ফাইভজি সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ।