1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন

● Saturday, April 20, 2024 | 06:21 AM

বদর যুদ্ধে বীর মুজাহিদ দুই কিশোর

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
বদর যুদ্ধে বীর মুজাহিদ দুই কিশোর

আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস। ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায় বদর যুদ্ধ। আজকের এই দিনে ইতিহাস বিখ্যাত ‘বদর যুদ্ধ’ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে সংঘটিত এই যুদ্ধটি মানবজাতির ইতিহাসে অনন্য এক ঘটনা। এটি ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। দাম্ভিকতার বিরুদ্ধে একনিষ্ঠতার লড়াই।

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে ক্ষীণশক্তি হয়েও মুসলিম বাহিনী বিপুল বিজয় লাভ করে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও মুসলিম বাহিনীর অমিত বীরত্বের কারণেই এই বিজয় অর্জিত হয়। বদর যুদ্ধে বীরত্বের যেসব গল্প ইতিহাসে অমর হয়ে আছে তার মধ্যে রয়েছে মুয়াজ ও মুয়াউভিজ দুই কিশোরের সাহসিকতার গল্প। এই কিশোরের হাতেই নিহত হয় চরম ইসলামবিদ্বেষী কুরাইশ নেতা আবু জাহেল।

কিশোর মুয়াজ বিন আমর ও মুয়াউভিজ বিন আফরা (রা.) ছিলেন বৈপিত্রীয় ভাই। দুই পিতার সন্তান হওয়ার পরও মায়ের সূত্রে তাদের চলাচল ছিল একসঙ্গে। উভয়ে একই সঙ্গে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের ময়দানে তাদের অবস্থানও ছিল এক কাতারে। যুদ্ধের বহু আগেই তারা লোকমুখে জেনেছিল, মক্কায় আবু জাহেল নামের এক ব্যক্তি রয়েছে। সে মুসলিমদের অনেক বেশি কষ্ট দিত। আল্লাহর রাসুল (সা:)-এর প্রতিও সে ছিল অত্যন্ত নির্মম। তাদের ইচ্ছা হলো এই পাষণ্ডকে হত্যা করার। তারা তাকে হত্যা করারও পরিকল্পনা করে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা:)-কে হজরত মুয়াজ (রা:) জিজ্ঞেস করলেন, চাচা, আপনি আবু জাহেল চেনেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। মুয়াজ (রা:) বললেন, আমাকে চিনিয়ে দিন। আমি শুনেছি, সে মুসলমান ও আল্লাহর রাসুল (সা:)-কে কষ্ট দিত। আমি আজ তাকে পরাজিত করতে চাই। হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বলেন, তাকে দেখলে আমি দেখিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ!

উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলো। আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) আবু জাহালকে দেখলেন এবং মুয়াজ ও মুয়াউভিজকে দেখিয়ে দিলেন। চিনিয়ে দিলেন। কিশোর এই দুই সাহাবি তাকে অনুসরণ করতে শুরু করলেন এবং উপযুক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। সুযোগ বুঝে হজরত মুয়াজ (রা:) আবু জাহেলকে আঘাত করলেন। সে মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেল। এমন সময় ইকরামা ইবনে আবু জাহাল (তখনো তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি) এগিয়ে এলো এবং মুয়াজ (রা.)-কে আঘাত করলেন। আঘাতে তার বাম হাত কেটে ঝুলে গেল। ঝুলে থাকার কারণে তিনি ঠিকমতো যুদ্ধ করতে পারছিলেন না। তিনি তার ঝুলে থাকা হাতটি পায়ের নিচে চাপ দিয়ে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। যেন যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে পারেন।

অন্যদিকে মুয়াউভিজ (রা:) আবু জাহেলের দিকে এগিয়ে গেলেন। মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় আঘাত করে তাকে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে দেন।

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
© ২০২৪- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )