ফ্রান্সের জাতীয় মানবাধিকার বিষয়ক কর্তৃপক্ষের এক রিপোর্টে ফ্রান্সে মুসলিম বিরোধিতা বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে। গত বছর করোনা মহামারীতে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ড অনেক বেড়েছে।
দ্যা ন্যশনাল কনসালটেটিভ কমিশন অন হুম্যান রাইটস (সিএনসিডিএস) জানিয়েছেন, মুসলিম ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কুসংস্কার ও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) মুসলিম, ইহুদি ও বিদেশীদের বিরোধিতা প্রতিরোধে সিএনসিডিএস ৩০তম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গত বছর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইসলাম, ইহুদি ও বর্ণবাদের বিরোধিতা বিষয়ক কর্মকাণ্ড ও হুমকির সাথে ১ হাজার ৪৬১টি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ এসেছে। আগের বছর ২০১৯ সালে এমন অভিযোগ ছিল ১ হাজার ৯৮৩টি।
ফ্রান্সে ইহুদি ও বর্ণবাদের বিরোধিতা বিষয়ক কর্মকাণ্ড ও হুমকির সংখ্যা কমলেও মুসলিম ও ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা বেড়েছে ৫২ শতাংশ। ২০১৯ সালে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২৩৪টি। গত ২০২০ সালের শেষ ৪ মাসে মুসলমানদের লক্ষ্য করে বহু প্রতিহিংসমূলক ঘটনা ঘটানো হয়।
এ সময় ফ্রান্সে বেশ কয়েকটি আক্রমণকে কেন্দ্র করে এসব প্রতিহিংসমূলক ঘটনার সূত্রপাত হয়। যেমন : শার্লি হেবদো পত্রিকার প্রাঙ্গনে ছুরি হামলা, স্কুলশিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হত্যা ও অক্টোবর মাসে নিস শহরের গির্জায় হামলা। স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মোহাম্মদ সা: এর ব্যঙ্গচিত্র দেখালে তাকে হত্যা করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে ফ্রান্সের মানুষ সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিষ্ণু আচরণ করলেও মুসলমানদের প্রতি তাদের বিদ্বেষ বাড়ছে। ফ্রান্সের অনেক নাগরিক মনে করেন, ইসলাম ধর্ম ফ্রান্সের জন্য হুমকি স্বরূপ।