পিডিবি বলছে, গরমে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ সাশ্রয়ে ১ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১০টি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব কটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিও। এতে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদার চেয়ে কম সরবরাহ পাচ্ছে।
আষাঢ় শেষে শ্রাবণ শুরু হয়ে গেছে। অথচ তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃষ্টি শুরু না হলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে না। এতে লোডশেডিং বাড়তে পারে।
তবে সরকারিভাবে বলা হয়েছে, এক ঘণ্টায় কাজ না হলে এক সপ্তাহ পর দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। এ ছাড়া চাহিদা কমাতে সরকারি অফিস দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, পরিকল্পিত লোডশেডিং বাস্তবায়নে সরকারের সক্ষমতার ঘাটতি আছে। প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে বিতরণ কোম্পানিগুলো রুটিন মেনে লোডশেডিং দিতে পারবে না। এতে প্রান্তিক মানুষকেই বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হবে।