1. yenboravisluettah@gmail.com : bimak73555 :
  2. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  3. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  4. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  5. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন
  6. : :
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩১ অপরাহ্ন

মানবজাতির প্রতি কুরআনের দাবি

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে
মানবজাতির প্রতি কুরআনের দাবি
মানবজাতির প্রতি কুরআনের দাবি

পবিত্র কুরআন হলো মানবজাতির মুক্তির দিশা। মহান আল্লাহ তা’আলা এই মহাগ্রন্থকে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন।

যারা কুরআন মোতাবেক চলবে, তার হক আদায় করবে, তারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে এবং সঠিক পথের দিশা পাবে। নিম্নে পবিত্র কোরআনের কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হলো—

কুরআনের ওপর ঈমান আনা: কুরআনের সর্বপ্রথম দাবি হলো, কুরআনের ওপর ঈমান। যে ব্যক্তি কুরআনের ওপর ঈমান আনে না, সে ঈমানদার হতে পারে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসুলের প্রতি এবং ওই কিতাবের প্রতি, যা আল্লাহ তাঁর রাসুলের ওপর নাজিল করেছেন।’ (সূরা : নিসা, আয়াত : ১৩৬)

কুরআন বিশুদ্ধভাবে পড়া: পবিত্র কুরআনের অন্যতম দাবি হলো, শুদ্ধভাবে পড়া। কুরআন শুদ্ধ না পড়লে নামাজ হয় না। তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত, কুরআন বিশুদ্ধভাবে পড়তে সচেষ্ট হওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি আখিরাতে সম্মানিত নেককার লিপিকর ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। আর যে ব্যক্তি তা পাঠ করে এবং এটা তার পক্ষে খুবই কঠিন ও কষ্টকর, সে দুটি পুরস্কার পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০৪)

অর্থাৎ বয়স কিংবা অন্য কোনো জড়তার কারণে যার কুরআন বিশুদ্ধভাবে পড়তে কষ্ট হয়, কিন্তু তারপরেও সে বিশুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা করে, সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।


কুরআনকে ভালোবাসা: পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘এবং যখন তারা রাসুলের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা শ্রবণ করে, তখন তারা যে সত্য উপলব্ধি করে তার জন্য তুমি তাদের চোখ অশ্রুবিগলিত দেখবে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা বিশ্বাস করেছি। অতএব তুমি আমাদের (সত্যের) সাক্ষীদের দলভুক্ত করো।’ (সূরা: মায়েদা, আয়াত : ৮৩)


কুরআনকে সম্মান করা: কুরআনের অন্যতম দাবি হলো কুরআনকে সম্মান করা, কোথাও কুরআন তিলাওয়াত হলে মনোযোগসহ তা শ্রবণ করা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগের সঙ্গে তা শোনো এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সূরা: আরাফ, আয়াত : ২০৪)


কুরআন চর্চা অব্যাহত রাখা: কুরআন বিশুদ্ধভাবে পড়া শিখলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং কুরআনের দাবি হলো, তার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে ভুলে যাওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্তরে কোরআন গেঁথে (মুখস্থ) রাখে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ওই মালিকের মতো, যে উট বেঁধে রাখে। যদি সে উট বেঁধে রাখে, তাহলে সে উট তার নিয়ন্ত্রণে থাকে; কিন্তু সে যদি বাঁধন খুলে দেয়, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৩১)


কুরআন মোতাবেক আমল করা: সাহল ইবনে মুআজ আল-জুহানি (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং কুরআনের অনুযায়ী আমল করে, কিয়ামতের দিন তার মা-বাবাকে এমন মুকুট পরানো হবে, যার আলো সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫৩)

কুরআন নিয়ে গবেষণা করা: পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা করে না? নাকি তাদের অন্তরে তালা আছে?’ (সূরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ২৪) মহান আল্লাহ আমল করার তাওফিক দান করুন।

মানবজাতির প্রতি কুরআনের দাবি

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
Share via
Copy link
© ২০২৩- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )
Share via
Copy link