প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে মারা গিয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ২ শতাধিক মানুষ। তবে এই মুহূর্তে দেশটিতে একেবারেই কমে গেছে সংক্রমণের হার।
এমতাবস্থায় করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ এড়াতে যুক্তরাজ্য সরকার আইনি বিধিনিষেধ না দিয়ে বিষয়টিকে জনগণের ‘ব্যক্তিগত দায়িত্ব’ হিসেবে দেখতে চায়। এমনকি মাস্ক পড়ার বিষয়টিকেও জনগণের বিবেচনার ওপরই ছেড়ে দিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এক সাক্ষাৎকারে দেশটির আবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি মনে করেন, মাস্ক পড়া নিয়ে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন। কিন্তু আস্থাভাজন নাগরিকরা এর সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে ব্রিটিশ সরকার করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিতে পারে।
তবে স্কটিশ সরকার মনে করেন, মাস্কের ‘চলমান প্রয়োজন’ থেকেই যাবে। একজন মুখপাত্র বলেন, আগামী ৯ আগস্ট সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও আশা করা হচ্ছে মানুষ নিজের সচেতনতা থেকেই গণপরিবহন এবং দোকানে মাস্ক ব্যবহার করবে।
যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলেও স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড সরকার নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি জারি করেছে।