পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবারের লিস্টে পুষ্টিকর খাবার থাকলেও এর পাশাপাশি অবশ্যই মৌসুমি ফল রাখা উচিত। পুষ্টিবিদদের সুরে তাল মিলিয়ে চিকিৎসকরাও একই কথা বলছেন।
ডাক্তার বা পুষ্টিবিদই সব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞই বেশি বেশি করে মৌসুমি খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করেন। ফল হোক বা শাকসবজি, ঋতু নির্দিষ্ট খাবারগুলি সতেজ হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর।
প্রতিটি ঋতুতে আকর্ষণীয় তাজা শাকসবজির একটি বিন্যাস পাওয়া যায়। যার প্রত্যেকটি নিজস্ব উপায়ে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। প্রতিটি ঋতু দ্বারা প্রদত্ত জলবায়ু আমাদের দেহে মৌসুমি পণ্যগুলিকে সহজে ভোজ্য এবং শোষণযোগ্য করে তোলে। এছাড়াও যে বিষয়টি সবচেয়ে জোরালো তা হলো মৌসুমি খাবার গ্রহণের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।
মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি প্রাকৃতিকভাবেই পাকা ও তাজা হয়। কার্বাইডে পাকানো সংরক্ষিত ফলগুলির তুলনায় সর্বাধিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে। এই সব ফল আর সবজি বেশি সাশ্রয়ী হয়। কারণ এই সময় কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল ও সবজিতে বিনিয়োগ করে এবং ফসল সংগ্রহ করে।
কোল্ড স্টোরেজ থেকে পাওয়া খাবারের দাম টাটকা খাবারের তুলনায় দ্বিগুণ হয়। কারণ এটি অফসিজনে চাহিদা মেটাতে সংরক্ষণ করা হয়। মৌসুমি খাবার খাওয়ার ফলে ঋতুবহির্ভূত পণ্যের চাহিদা কমে যায়।
মৌসুমি ফল ও সবজি একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে উৎপাদিত হয়। তাই এই খাবারগুলো হয় তাজা। এর স্বাদও হয় মিষ্টি। সঠিক সময়ে ফল এবং শাকসবজি সংগ্রহ করা হলে এগুলি খেতে হয় আরও সুস্বাদু হয়।
তাই খাবারের তালিকায় মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি বেছে নিতে হবে। তবে এইগুলি খাওয়ার সময় মনে রাখতে হবে যে অসংখ্য হাত বদলের মাধ্যমে এটি আমাদের কাছে পৌঁছায়। তাই খাওয়ার আগে এগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যাতে এর রাসায়নিক পদার্থ এবং রোগজীবাণু দূর হয়ে যায়।