কাউকে যদি পশ্ন করা হয় যে, ঘড়ির কাঁটা কয়টি তাহলে উত্তর দিবে ১২ টি। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ঘড়ি আছে, যা অন্যসব ঘড়ি থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না। এর কারণ হলো ওই ঘড়িতে ১১টি সংখ্যা রয়েছে। এ রকম অদ্ভুত ঘড়ি আছে সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে।
পর্যটকরা সোলোথার্নে ঘুরতে এসে শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে ঘড়িটি দেখে কিছু সময়ের জন্য থমকে যান। কারণ ওই ঘড়িতে ১১টি সংখ্যা আছে। অর্থাৎ এই ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না।
শহরের কমবেশি সব কিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনাসহ আরও অনেক কিছু। তাই এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্কটা যেন একটু বেশিই।
জানা গেছে, ২ হাজার বছর আগে রোমানদের হাতে পত্তন হওয়া শহরটি শুরুর দিকে এতটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে দিন গড়াতেই কাকতালীয়ভাবে এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে।
১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচন হয়, তখন ১১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।
এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানালা, ১১টি রো আর ১১টি ঘণ্টা। ওই গির্জা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। সোলোথার্নে পা রাখলেই বোঝা যাবে ১১ সংখ্যার প্রতি শহরবাসীর দুর্বলতা।