1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

রমজানে করণীয় বিষয়

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
রমজানে করণীয় বিষয়

রমজান হলো কল্যাণ ও বরকতের বসন্তকাল। এই কল্যাণ ও বরকতের বসন্তের মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনে বারবার ঘুরেফিরে আসে। মহিমান্বিত রমজানের উপকারিতা ও বরকত পরিপূর্ণরূপে লাভ করার জন্য এ মাসের করণীয় কাজগুলো মহব্বতের সাথে আঞ্জাম দেওয়া জরুরি। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ মাসের করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।

১। রোযা রাখাঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো। সূরা বাকারা (আয়াত-১৮৩)

হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা রমজানের চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখবে। যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখবে তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী : ১৯০৯

অপর হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, রোযা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। কেয়ামতের দিন রোযাদারদের জন্য একটি বিশেষ হাউজ থাকবে, যেখানে রোযাদার ব্যতীত অন্য কারও আগমন ঘটবে না। মুসনাদে বায্যার : ৮১১৫

২। তারাবীহ নামাজ পড়াঃ বরকতময় মাহে রমজানের দিন-রাত সবই মূলত ইবাদতের জন্য। রোযা হলো দিনের ইবাদত, আর রাতের ইবাদত হলো তারাবীহ নামাজ যা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এ আমল ফরজ না হলেও এর ফযীলত ও মর্যাদা অনেক। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:)-বলেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবীহ আদায় করে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।-সহীহ বুখারী : ২০০৯

হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রা:) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমজানের রোযা ফরজ করেছেন। আর আমি কিয়ামুল লাইল তথা তারাবীহ সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রোযা ও তারাবীহ আদায় করবে সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে যেদিন সে মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। (মুসনাদে আহমদ : ১৬৬০) রমজানের পূর্ণ কল্যাণ ও বরকত লাভ করতে হলে তারাবীর ব্যাপারে অবশ্যই যত্মবান হতে হবে।

৩। কুরআন তেলাওয়াত করাঃ রোযা এবং রমজানের সঙ্গে কুরআনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্যই রমজানে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে এবং এ জন্যই রাসুল (সা:) রমজান মুবারাকে কুরআন তেলাওয়াতের খুব গুরুত্ব দিতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, রাসূল (সা:) ছিলেন সবচেয়ে বেশি দানশীল ও বদান্য, রমজানে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা অনেক বেড়ে যেত। প্রত্যেক রমজানে জিবরাঈল (আ:) তাঁর সঙ্গে মিলিত হতেন এবং পুরো কুরআন একে অপরকে শোনাতেন।-সহীহ বুখারী : ০৬

মূলত এই সুন্নতের ভিত্তিতেই তারাবীর মাধ্যমে মুসলমানরা সারা রমজানে একবার পুরো কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে এবং শোনেন। নামাজের বাইরেও নিজেরা কুরআন খতম করেন। যারা রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতে ব্যস্ত থাকে তাদের ব্যাপারে সুসংবাদ এসেছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে রব, আমি তাকে খাদ্য এবং যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি, অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি (অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সে তেলাওয়াত করেছে) অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।-মুসনাদে আহমাদ : ৬৬২৬

৪. রোযাদারকে ইফতার করানোঃ হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার (রোযাদারের) অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোযাদারের প্রতিদান থেকে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না।-সুনানে তিরমিযী : ৮০৭

৫. তাওবা-ইস্তিগফার করাঃ আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন। যেমন রাসূলে কারীম (সা:) ইরশাদ করেন, আল্লাহ এ মাসের প্রতিরাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।-মুসনাদে আহমাদ : ১৮৭৯৪

সুতরাং আমাদের কর্তব্য তাওবা-ইস্তিগফার করা। কেননা, যে ক্ষমা চায় তাওবা করে তাকেই আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। অন্য কাউকে নয়।

৬. দোয়া করাঃ রোযার মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করে। রোযাদার ব্যক্তি যতক্ষণ রোযা অবস্থায় অথবা রোযার প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে (অর্থাৎ রাত-দিন) ততক্ষণ তার কোনো দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। তার সমস্ত দোয়া কবুল করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলিম (রমজানে) যে দোয়া করে তা কবুল করা হয়।-মুসনাদে বায্যার : ৩১৪১

রমজান মাস হলো দোয়া কবুলের মাস। তাই সবসময়তো দোয়া করতেই হবে। কিন্তু আমাদের উচিত এ মাসে আরো বেশি বেশি দোয়া করা।

৭. ইফতারের আগ মুহূর্তে দোয়া করাঃ ইফতারের সময় দুআ কবুল হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি. থেকে শুনেছি তিনি বলছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) বলতে শুনেছি, ইফতারের সময় রোযাদারের দোয়া কবুল করা হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে ইফতারের সময় এ দুআ করতে শুনেছি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি রাহমাতিকা আল্লাতি ওসিআত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরলি’। অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আমি তোমার দরবারে সেই রহমতের উসিলায় আবেদন করছি যা সকল বস্তুকে বেষ্টন করে রেখেছে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। (মুসতাদরাকে হাকেম : ১/৫২৯, হাদীস নং : ১৫৬৭)রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে এ দোয়া করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং : ১৭৫৩)

রমজানে করণীয় বিষয়

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও

ফেসবুকে হক কথা

Share via
Copy link
© ২০২৩- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )
Share via
Copy link