লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। যার ধারাবাহিকতায় আজ সারাদিন মেঘের চাদরে আবৃত রাজধানীর আকাশ। সারাদিন থেমে থেমে হলেও বিকেলের দিকে বেড়েছে বৃষ্টি। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। বইছে দমকা বাতাস। দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও হচ্ছে বৃষ্টিপাত।
লকডাউনের ভিতরে রাজধানীতে বাইরে বের হওয়া মানুষে যানবাহনের ভোগান্তির সঙ্গে বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে এ বৃষ্টিপাত। অনেকেই রেইনকোট পরে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। কেউবা নিয়েছে ছাতা। তাপমাত্রা কমে গিয়েও বিরাজ করছে শীতের অনুভূতি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী শনিবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে এটা ধীরে ধীরে কমে আসবে। আগামী শুক্রবার (২০ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ২৫-৩৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।
এদিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়ে রয়েছে ভূমিধসের শঙ্কাও।