লাইলাতুল কদর-এর ফজিলত ও এর বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন নজির আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং উল্লেখ করেছেন পবিত্র কুরআন মাজিদে। লাইলাতুল কদরের তিনটি বৈশিষ্ট্য
এর তিনটি বৈশিষ্ট্য সূরা কদরে বর্ণিত রয়েছে। সূরা কদরে বর্ণিত বৈশিষ্টসমূহ হলো-
১। এ রাতে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাজিল হয়েছে।
২। এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
৩। এ রাতে হযরত জিবরাইল আ. ফেরেশতাদের এক দলসহ জমিনে অবতরণ করেন।
সূরা আল-কদরে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
১. নিশ্চয়ই আমি (কুরআন মাজিদকে) নাযিল করেছি শবে-কদরে।
২. শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
৩. শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
৪. এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
৫. এটা নিরাপত্তা, যা ফজরপর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
আল্লাহ তায়ালা ঘোষনা করলেন, আমি এ কুরআনকে লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি। লাইলাতুল কদরের বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য এ আয়াতটি ই যথেষ্ট। কারণ, এ রাতে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছে। আল-কুরআন সম্পর্কে হাদীসে আছে, “আসমান জমিন এবং এ দুয়ের মাঝে যা কিছু আছে এসব কিছু থেকে কুরআন ই হলো আল্লাহ’র কাছে অধিক প্রিয়।” – দারেমী। আর আল্লাহ তার কালামকে যে রাতে নাজিল করেছেন সে রাত কত ফজিলতের।