আজ ২৬ রমজান। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে বহুল আকাঙ্ক্ষাতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত রাত লাইলাতুল কদর। যদিও রাসুলুল্লাহ (সা:)-ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর ‘ তথাপিও ২৬ রমজান দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ রাতে আগে কিংবা পরে শবে কদর হলেও বিশ্বব্যাপী এ রাতকে শবে কদর মনে করে ইবাদতে মশগুল হয় মুমিন মুসলমান। তাদের জন্য আজকের ইবাদত ও করণীয়-
বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত। নফল নামাজ আদায়। ন্যূনতম ১২ রাকাত থেকে যত বেশি সম্ভব পড়া। এজন্য নফল নামাজ পড়ার নিয়তে দুই রাকাত নফল পড়ছি এই বলে তাকবির বেঁধে যত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া। এ নিয়তে নামাজ শুরু করে আবার সঠিকভাবে শেষও করা। এজন্য সুরা ফাতিহার সঙ্গে নিজের জানা যে কোনো সুরা মেলালেই চলবে।
এ ছাড়া সালাতুত তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুত তাসবিহও পড়া যেতে পারে। জিকির ও দোয়া করা। ইসতিগফার ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইসতিগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া। হজরত আয়েশা (রা:) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বললাম ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি কোনো প্রকারে আমি জানতে পারি রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে কী দোয়া করব? জবাবে তিনি বললেন, এ দোয়া পড়বে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুওয়ুন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু’ আন্নি’; আল্লাহ! তুমি বড়ই মাফ করনেওয়ালা এবং বড়ই অনুগ্রহশীল। মাফ করে দেওয়াই তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি আমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দাও।
প্রভু এতে ভীষণ খুশি হন। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি এতটাই অনুগ্রহশীল যে তিনি তাঁর কাছে না চাইলে অসন্তুষ্ট হন। ‘যে আল্লাহর কাছে কিছু চায় না আল্লাহ তার ওপর রাগ করেন।’ (তিরমিজি)। কাজেই আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দারবারে মোনাজাত করব, মাগফিরাত, রহমত কামনা করব, জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করব। চোখের পানি ফেলে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করব। আল্লাহ আমাদের খালি হাতে ফেরাবেন না ইন শা আল্লাহ। মহান রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে কায়মনোবাক্যে মহিমান্বিত এ রাতে বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)