1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন

● Saturday, April 20, 2024 | 07:05 AM

শবে বরাত নিয়ে কিছু জটিল প্রশ্নের সহজ জবাব

মারুফ হোসেন
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০২২
  • ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র শবে বরাত

মুফতী তাজুল ইসলাম জালালী:

১ম প্রশ্নঃ– শবে বরাত কুরআন হাদীসে আছে কি নাই?

সহজ উত্তর– শবে বরাত শব্দটি ফারসী, হ্যাঁ, এই শব্দটি কুরআন হাদীসে কোথাও নেই; তবে এই শব্দটি দ্বারা যে রাতকে বোঝানো হয়েছে সে রাতটির কথা কুরআন হাদীসে আছে। কুরআনে এই রাতটিকে লাইলাতুম মোবারাকা বলা হয়েছে, আর হাদিসে বলা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’। কুরআন এবং হাদীসের বর্ণিত শব্দ দ্বয় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কঠিন তাই জনসাধারনের কাছে এই রাতটিকে পরিচিত করে তুলতে বিভিন্ন দেশে এ রাতকে বিভিন্ন পরিচায়ক শব্দে অভিহিত করা হতো। যেমন ভারতবর্ষে এর পরিচায়ক নাম বলা হতো শবে বরাত। কালক্রমে এটিই কুরআন হাদীসে বর্ণিত লাইলাতুম মোবারাকা ও লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান এর প্রতি নামে পরিচিতি লাভ করে। বিরুদ্ধবাদীদের জানতে হবে আমরা শব্দ পালন করছি না বরং র্নিধারিত সেই রাতটিই পালন করছি। আর এটা শত সিদ্ধ কথা যে শব্দের দ্বারা বস্তুর স্বত্তার পরিবর্তন হয় না। আঞ্চলিকাতার উপর বা ভাষার উপর নির্ভর করে শব্দ কেবল পরিভাষার পরিচায়ক মাত্র। শবে বরাত শব্দটি কোন নতুন রাতের তৈরী করে না যা বিদআত হবে, শবে বরাত শব্দটি কুরআন হাদীসে বর্ণিত রাতটিকে সহজ ভাবে সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিভাষার পরিবর্তন বুঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যাক- আমরা ঢাকার বাসিন্দারা পানির পিপাসা মিটানোর চাহিদা বোঝাতে বলে থাকি- “আমি পানি খাবো” আমরা জানি কোন কিছু উদরে ঢোকানের আগে চিবানোর প্রয়োজন হলে একে খাওয়া বলে, আর চিবানোর প্রয়োজন না হলে পান করা বলে। আমরা এ শব্দ ব্যবহার করে কি পানি চিবিয়ে খাওয়ার অহেতুক ইচ্ছা করছি নাকি সাবলিল ভাবে পানি পানের চাহিদা প্রকাশ করছি। ঢাকার এ শব্দটি যদি নোয়াখালীর বাসিন্দারা বলে থাকেন তাহলে বলবেন- আঁই হানি খাইয়ূম। আমরা জানি ইংরেজীতে মধুকে হানি বলে। আপনি কি তাহলে বলবেন নোয়াখালীর লোকটি মধু খাওয়ার চাহিদার কথা বলছে? তাহলে আমরা কি শবে বরাত বলে কোন কিছু বদলাতে চাইছি নাকি কুরআন হাদীসের রাতকেই আমাদের পরিভাষায় প্রকাশ করছি।

২য় প্রশ্নঃ ছাহাবায়ে কেরাম এ রাতটিকি পালন করেছে এবং তাদের থেকে কি এই রাতটি প্রমান করার মতো কোন হাদীস রয়েছে?

সহজ উত্তর– হ্যাঁ। আর একটু বিস্তারিত বললে- কমপক্ষে ১৫ জন বিশিষ্ট সাহাবী থেকে এরাতের হাদীস রয়েছে- তাদের নাম শুনলেও আপনারা অবাক হবেন। শবে বরাত বলে আমরা যে রাতটিকে বুঝাতে চাই এই রাতের ব্যাপারে ১৫ জন বিশিষ্ট সাহাবী হলেন-
১। হযরত আবুবকর সিদ্দিক রা.
২। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রা.
৩। হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রা.
৪। হযরত আয়শা বিনতে আবু বকর রা.
৫। হযরত ওসমা ইবনে আবিল আস রা.
৬। হযরত আবদুল্লা ইবনে ওমর রা.
৭। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা.
৮। হযরত আবু সালাবা রা.
৯। হযরত আবু হোরায়রা রা.
১০। হযর আবু মুসা আশআরী রা.
১১। হযরত আউফ ইবনে মালেক রা.
১২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.
১৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা.
১৪। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা.
১৫। আবু মুয়াবিয়া আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে আবু তালেব রা.

তারা যা বলেছেন আপনাদের কি মনে হয় তারা তা পালন না করেই মানুষকে বলেছেন। নিশ্চয় না; বরং তারা প্রতি রাতকেই শবে বরাতের মতো পালন করেছেন তাই তাদের পালনীয় শবে বরাত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তা ছাড়া সাহাবাগণ রুটি-হালুয়া, উন্নত খাওয়ার আমোদ, মাজার পূজা, লাল সুতা, ঝরি-উল্কি করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে , মিষ্টি-মিলাদের আয়োজন করে ধুমধামে শবে বরাত পালন করেননি তাই তাদের শবে বরাত দৃষ্টিগোচর হওয়া দুষ্কর। শবে বরাত নিয়ে আমাদের সমাজের দুই শ্রেণীর লোক দুই ধরনের আচরণ প্রকাশ করেন, কেউ শবে বরাত নেই বলে ছাড়াছাড়ি আর কেউ শবে বরাত আছে নামে পূজাঁ অর্চনার মতো আচরন করে বাড়াবাড়ি। হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সর্বকাল পর্যন্ত একনিষ্ট চেষ্টা এই দুয়ের মাঝামাঝি। ইসলামে শবে বরাত নেই বলার দৃষ্ঠতা কারীদের হটকারিতার মুখুশ উম্মোচন আর অতি শবে বরাতের নামে অপসংষ্কৃতি সৃষ্টিকারীদের দমন হক্কানী ওলামায়ে কিরামের মিশন।

আল্লাহ আমাদের শেষ জমানার ফেতনা থেকে বাঁচার তাউফিক দান করুন। আমীন।।

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
© ২০২৪- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )