গতকাল শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রীজের ওপর অবস্থান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী মারা গেছে সেটিরও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা পূর্ব ঘোষিত ১১ দফার দাবিও তুলে ধরেছে।
নিরাপদ সড়কের দাবির আওতায় পথচারী, বাস চালকসহ সকলকে সচেতন করার জন্য সড়কের উপর রং তুলি দিয়ে “নিরাপদ সড়ক চাই” লিখেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেরদৌস বাঁধন। তিনি বলেন, ‘হাবিব চিত্রশিল্পী ছিলেন। তাঁর জন্য লিখলাম। পাশাপাশি সকলকে সচেতনতার সাথে চলতে এই লেখার মাধ্যমে একটি বার্তা দিলাম।
তাদের এই সচেতনতামূলক কাজ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে করা যায় এবং সড়কের যেই অংশে “নিরাপদ সড়ক চাই” লেখা সেই অংশ দিয়ে যেন কোনো গাড়ি বা রিকশা চলাচল না করে তার জন্য সহায়তায় এগিয়ে আসতে দেখা যায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। তিনি হাত নাড়িয়ে যানবাহনগুলোকে অন্য পাশ দিয়ে যাওয়ার ইশারা করেন।
এতেও তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় একজন ভ্যানে করে বিস্কুট বিক্রিওয়ালাকে ডেকে “নিরাপদ সড়ক চাই” লেখার সামনে দাঁড়াতে বলেন। তখন তার কষ্ট হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার জন্য যদি তাদের (শিক্ষার্থী) সামান্য পরিমাণও উপকার হয় তাতে আমার কোনো কষ্ট নেই। বরং আমার খুব ভালো লাগবে।”
এ সময় শিক্ষার্থীরা সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের জন্য সকল কাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলে তারা সকল কাজই সুন্দরভাবে করে যেতে পারবেন। সেই বিস্কুট বিক্রিওয়ালাকেও ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।