বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদনে (একিউআই) ১৭৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি এবং ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব যথাক্রমে ৩৯৮, ২২০ এবং ১৯৭ স্কোর নিয়ে প্রথম তিন স্থান দখল করেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক জনসংখ্যার মতো সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআইএ ১০১ থেকে ২০০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়।
সরকারি সংস্থাগুলো প্রতিবেদনটি ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিচ্ছন্ন বা দূষিত তা জনগণকে জানাতে এবং তাদের জন্য কী সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলোা উদ্বেগের কারণ হতে পারে তা জানাতে।
দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম বড় শহর ঢাকা বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইট ভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে বায়ু দূষণ স্থান করে নিয়েছে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ু শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক সাত মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর কারণ।