আজ ৫ই জুন শনিবার সকাল ও দুপুর মাত্র দুইবার বৃষ্টিতে রাস্তায় জমা পানি নামেনি সন্ধ্যায়ও। ময়লা-দূর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচলের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনমতো রিক্সা। ফলে এ পানি মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সেকান্দারবাগ এলাকার সাধারণ মানুষকে।
আজ সকালে আনুমানিক সোয়া ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভীষণ বৃষ্টিপাত হয়। সেই বৃষ্টিতে প্রায় হাটুজল ওঠে শহরের বেশীরভাগ রাস্তায়। এই পানি নামার আগেই আবারও বৃষ্টি শুরু হয় দুপুরের দিকে। দুপুর ১টা হতে দেড়টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেই বৃষ্টি। এতে রাস্তায় আরও পানি জমে যায়।
বিজ্ঞাপন
তবে অন্যসব রাস্তার পানি নেমে গেলেও নামেনি মধ্যবাড্ডা, আদর্শনগর ও পূর্ববাড্ডার সেকান্দারবাগ এলাকার পানি। সন্ধ্যা পর্যন্ত-ও এসব রাস্তায় জমে আছে হাটুসমান পানি।
এদিকে মধ্যবাড্ডা ও আদর্শনগর রাস্তার পানি স্রোত আকারে বেয়ে এসে জমা হচ্ছে সেকান্দারবাগের রাস্তায়। ফলে পানি উঠে গেছে এলাকার অনেক দোকানেও। সেই সাথে ড্রেনের পানি উঠে তৈরী করছে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি।
পানি দীর্ঘক্ষণ জমে থাকার কারণস্বরূপ এলাকাবাসী ড্রেনেজ ব্যবস্থার পরিকল্পিত উন্নয়ন না হওয়াকেই দূষছেন। তাদের ভাষ্যমতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও কেউ এর পরিকল্পিত ও স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারছে না।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে রাস্তা মেরামত ও পরিকল্পিত উন্নয়নের নিশ্চয়তা দিলেও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এলাকার কোনো রাস্তা উন্নয়নে আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি ৩৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে। তারা বলছে এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন বর্ষায় তাদের ঘরবসতি স্থাপন করতে হবে পানির নিচে।
এর আগে গত ৩০শে মে একইভাবে সকালে হওয়া বৃষ্টিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানিবন্দি থাকতে হয় এলাকার মানুষদের। তাদের আকুল আবেদন শীঘ্রই এই এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়েনর মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হোক।