● বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 25, 2024 | 10:11 অপরাহ্ন

‘সীরাতুননবী সা. অনুসরণেই মানবজাতির শান্তি ও কল্যাণের পথ’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত হয় সীরাতুন্নবী (সা.) কনফারেন্সে।সকাল ৯টায় আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও কনফারেন্সের মূল আয়োজন শুরু হয় ১০ঃ ৩০ মিনিটে। আয়োজিত কনফারেন্সে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর সীরাত অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। তাঁর আদর্শ অনুসরণেই মানবজাতির শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী সকল প্রকার চক্রান্ত রুখে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সম্প্রতি কুমিল্লার এক পুজামণ্ডপে পবিত্র কুরআনের অবমাননার প্রসঙ্গ টেনে নেতৃবৃন্দ বলেছেন আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জঘন্য ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।

জমিয়তের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী ও মাওলানা তাজুল ইসলাম আশ্রাফীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী,মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক,যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া,মুফতী মাসউদুল করীম,মাওলানা আফজাল হোসাইন রহমানী,মাওলানা লোকমান মাজহারী,মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস,মাওলানা হামেদ জহীরী,মাওলানা নূর মোহাম্মাদ কাসেমী,মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম,মাওলানা আব্দুল লতীফ ফারুকী,মুফতী আনীসুর রহমান,মুফতী সলীমুল্লাহ খান,মাওলানা ইয়াকুব ও মাওলানা ফজলে এলাহী প্রমুখ।
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী তার বক্তব্যে বলেছেন নবীয়ে করীম সা.এর জীবনাদর্শের প্রতিটি অধ্যায়ই আমাদের জন্য অনুসরণীয়। তিনি বলেন ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় ও ঘর-বাড়ীতে হামলা করা এবং পবিত্র কুরআনের অবমাননার প্রতিবাদকারীদের সাথে প্রশাসনের অসংযত আচরণ কোনটাই সমর্থনযোগ্য নয়।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের প্রত্যেককে নবীজী সা.এর জীবনচরিত অনুসরণ করতে হবে। তাঁর আদর্শ অনুসরণেই মানবতার মুক্তি ও শান্তি নিহিত আছে। তিনি আরও বলেন, নবীজীর জন্মের সময়টিকে মানবতাহীন অন্ধকার যুগ। তখনও পৃথীতে ছিল ইয়াহুদী ধর্ম , ছিল খৃষ্টান ধর্মসহ অনেক ধর্ম ও ধর্ম জাজক, কিন্তু ছিলনা তাদের মাঝে মানবতা। তাইতো সে যুগকে অন্ধকার যুগ বলা হয়।অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে মানবতা শিখিয়েছে ইসলাম।বর্তমান যুগের ইউরুপ আমেরিকাসহ বিশ্ববাসী মানবতা শিখেছে আমাদের ইসলাম থেকে।

মা জ ওসহ মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আবির্ভাবপূর্ব বর্বরযুগে কারো জানমাল ও ইজ্জত-সম্মানের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। মানবতা ও মানুষত্ব ছিল তখন বিপন্ন। যাবতীয় পাপাচার ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত সেই সমাজে মহানবী সা.প্রতিষ্ঠা করলেন সভ্যতা ও সাম্য। তাই সভ্য সমাজ বিনির্মানে আমাদেরকে তাঁর আদর্শই অনুসরণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে ইস্কনের অপতৎপরতা বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন মানুষের জীবনচরিতের দু-টি অংশ থাকে, একটি সামাজিক আরেকটি পারিবারিক। মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত রাসূলুল্লাহ সা.উভয় অংশেই ছিলেন সম্পূর্ণরূপে নিষ্কলুষ। তিনি কখনোই কোন প্রকার অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেননি। তাঁর সত্যবাদিতা ও চরিত্রমাধুর্যে বিমুগ্ধ হয়েই হযরত খাদীজা রা. তাঁর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বিয়ের পূর্বে তিনি নবীজী সা.সম্পর্কে যে প্রশংসা শুনেছেন দাম্পত্য জীবনে কখনো তার ব্যতিক্রম কোন কিছু খুঁজে পাননি। সুতরাং সুন্দর জীবন গঠনে আমাদরকে তাঁর জীবনের প্রতিটি অংশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

বাড্ডা ইমাম ওলামা পরিষদের শুরা সদস্য ও জমিয়তে ওয়ালামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বাড্ডা থানার সহ-সভাপতি ও সেক্রেটারী যথাক্রমে মুফতি কাজী মাহমুদুল হাসান ও মাওঃ ইয়াকুব আলী কনফারেন্সে আলোচনায় সীরাতুননবী (সা.) র উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন।

কনফরেন্সের সূচনাতে পবিত্র কুরআনে কারীম থেকে তেলাওয়াত করেন বাড্ডা ইমাম ওলামা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওঃ ইউনুস শরীফ।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...