নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ৪৮টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ পুড়ে যাওয়া ৪৮ মরদেহর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি মরদেহ পোড়া ছিল। এদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু কয়েকটি মরদেহ এতটাই পোড়া ছিল যে, ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়নি। তবে আমরা মরদেহগুলো থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ৪৮টি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত শুরু করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ২৫ টি পরিবার ১২টি মরদেহের দাবিদার। এখন ডিএনএ রিপোর্টের ওপর ভরসা ছাড়া কোনও উপায় দেখা যাচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডি মরদেহগুলো থেকে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করেছে। এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। দাফনের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক মর্গে সিআইডির অ্যাসিসট্যান্ট অ্যানালাইসিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৯টি মরদেহের জন্য ২৬ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল মর্গ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত কক্ষে রাখা হয়েছে। কারণ সংরক্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত ফ্রিজ নেই। যে কয়েকটা ফ্রিজ আছে, সেখানে আগে থেকেই অনেক মরদেহ রাখা হয়েছে।