রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতের সুযোগ, আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য লাভসহ বহুবিধ কল্যাণের সর্বোত্তম ইবাদত এই ইতিকাফ। রাসুল (সা:) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা:) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান।
নিম্নে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের কয়েকটি উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
- ইতিকাফকারী অবসর সময়ে কোনো আমল না করলেও তার দিনরাত মসজিদে অবস্থান করাটাই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।
- ইতিকাফের অসিলায় অনেক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
- রোযার যাবতীয় হক ও আদব যথাযথভাবে আদায়ের ক্ষেত্রে ইতিকাফের ভূমিকা অপরিসীম।
- ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার মেহমান হওয়ার সৌভাগ্য লাভ হয়।
- ইতিকাফকারী দুনিয়ার নানাবিধ ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহ তা’আলার কাছে সমর্পণ করে। ফলে ফেরেশতাদের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয় এবং গুনােহ থেকে বেঁচে থাকার কারণে তার মধ্যে ফেরেশতাসূলভ গুণাবলী শক্তিশালী হয়।