1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন

● Saturday, April 20, 2024 | 11:10 AM

ইবাদত বন্দেগীতে পালিত হচ্ছে লাইলাতুল কদর

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র শবে কদর

ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে কদর পালন করছেন মুসলিম জাতি। এই পবিত্র রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর ওপর পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। সেই সাথে ‘কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল হয়েছিল। তাই এই রাতটি মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্র রাত।

শবে কদরের এই রাতে মুসলমানরা সারা রাত ইবাদত-বন্দেগিতেই কাটিয়ে দেন। শবে কদরের আরবি নাম হলো লাইলাতুল কদর। এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই এই রাত অনেক পুণ্যের এবং সওয়াবের রাত।

শবে কদর (ফার্সি: شب قدر‎‎) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر‎‎) এর অর্থ “অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত” বা “পবিত্র রজনী”। ফার্সি ভাষায় “শাব” ও আরবি ভাষায় “লাইলাতুল” অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান।

কদরের আরেক অর্থ ভাগ্য, পরিমাণ, তাকদীর নির্ধারণ করা ইত্যাদি। এ রাতে পরবর্তী এক বছরের প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিযিক ইত্যাদির পরিমাণ লাওহে মাহফুজ থেকে নিদিষ্ট ফেরেশতাগনকে লিখে দেওয়া হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, চার ফেরেশতাকে এ কাজের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা হলেন- হযরত জিবরাইল (আ:), হযরত আজরাইল (আ:), হযরত ইসরাফিল (আ:) ও হযরত মীকাঈল (আ:)। 

পবিত্র কুরআনের ভাষ্যমতে, আল্লাহ এ রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সাওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতি বছর মাহে রমজানে লাইলাতুল কদর মুসলিম উম্মাহের জন্য অশেষ সাওয়াব অর্জনের সুযোগ বয়ে আনে।

লাইলাতুল কদর কেবলমাত্র হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের বৈশিষ্ট্য, পূর্বের কোনো নবীর উম্মতের সময়ে লাইলাতুল কদর ছিল না। 

একদা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী ইসরাইলের জনৈক ইবাদতকারী ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। সে সারারাত ইবাদত মশগুল থাকত, সকাল হতেই জিহাদের জন্য বেরিয়ে যেত এবং সারাদিন জিহাদে লিপ্ত থাকত। এভাবে সে এক হাজার মাস ইবাদতে কাটিয়ে দেয়। 

এ কথা শোনার পর সাহাবারা আশ্চর্য হয়ে গেল এবং আফসোস করতে লাগল যে, আমরা তো এত লম্বা হায়াত পাব না আর আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারব না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা সূরা কদর নাজিল করেন এবং সাহাবারা তথা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্য হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ রজনীর সুসংবাদ দিলেন।

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
© ২০২৪- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )