“এই শহরে টং এর চায়ের মানে কি? নিশ্চয়ই কাপ ভর্তি ভালোবাসা।”
তারই প্রামাণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়।
জীবন হলো এক কাপ চায়ের মতোই। এটা তেমন স্বাদ দিবে, যেমন আপনি বানাবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে দুই ভাই আশিক ও মাসুদের চায়ের দোকান। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরতে ২০০৬ সালে টং দোকান দিয়ে বসেন আশিক। চায়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই দেশ বিদেশের নানা রেসিপি জোগাড় করেন তিনি। এখন সেই চায়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১০ প্রকারে।
দুই ভাই তাদের টং দোকানে প্রতিদিন তৈরি করেন পঞ্চাশ-একশ নয়, একেবারে ২১০ ধরনের চা। তার চায়ের সুখ্যাতি ছড়িয়েছে আশেপাশের জেলাগুলোতেও। আশিকের টং দোকানে ধরনভেদে প্রতিকাপ চায়ের মূল্য ৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
আশিক জানান, ইরানী, দিল্লি, তামিল নাড়ু, কলকাতা থেকে শুরু করে দুবাই, সৌদি আরবের বিখ্যাত চা পাওয়া যায়। এগুলো ইউটিউব দেখে শিখেছেন বলে জানান তারা।
ব্যতিক্রমী এই টং দোকানের চায়ের খবর ছড়িয়েছে আশেপাশের জেলাগুলোতেও। প্রতিদিন তার দোকানের বাহারী চায়ের স্বাদ নিতে হাজির হন শত শত মানুষ। আশিকের চা-প্রতিভার কথা জানে প্রশাসনও। চায়ের সুখ্যাতি ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজনে আশিককে করে দিতে চান দৃষ্টিনন্দন দোকানের ব্যবস্থা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, আমরা ইতোমধ্যে তার সাথে কথা বলেছি। একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে তাকে একটি দৃষ্টিনন্দন টি-স্টল করে দেয়ার কথা ভাবছে।
ফারজানা আক্তার লিমা প্রতিষ্ঠানঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি বিভাগ