● শনিবার, এপ্রিল 27, 2024 | 01:00 পূর্বাহ্ন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

করোনায় শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ থাকে কেন?

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই একটি কথা বলে থাকেন শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষাই পারে সমাজ থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের উন্নয়ন ঘটাতে। একটি জাতির উন্নতি ঠেকাতে, শত বছর পিছিয়ে রাখতে এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যথেষ্ট। সেখানে করোনাকালীন বিধিনিষেধে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল দেড় বছর।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪টি দেশ এক বছরের বেশি সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে, যার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ভবিষ্যৎ ভয়াবহতা টের পেতে বেশি দিন অপেক্ষার প্রয়োজন হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সাথে সাথেই এর তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা গেছে।

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই ফিরতে পারেনি শ্রেণিকক্ষে। অনেক শিক্ষার্থীকে পরিবারের চাপে বিয়ে করতে হয়েছে। এতে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শিশুশ্রম। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির কেবল ১৫ মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫১। পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকট, পারিবারিক জটিলতা, চাকরির অভাব, সম্পর্কের অবনতি-এসবই আত্মহত্যার মূল কারণ।

মূলত শিক্ষার্থীদের জীবন যেন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে না যায় সেজন্যই দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ভাবনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, আত্মহত্যা অপেক্ষা মহামারিতে মৃত্যু শ্রেয়। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাতে শিক্ষার্থীরা এই অসহায় অবস্থা কাটিয়ে প্রাণোচ্ছল জীবনে ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ৫ মাস যেতে না যেতেই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জানুয়ারি থেকে ২ সপ্তাহের জন্য আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার খোলা থাকতে পারে, বাণিজ্য মেলা চলতে পারে, সেই স্বাস্থ্যবিধির আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন খোলা রাখা যায় না? করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও দেখা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মারা যাওয়া ৮৫ শতাংশই রোগীই করোনার টিকা নেয়নি। অর্থাৎ সচেতনতা ও টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনা থেকে সুরক্ষা থাকা যায়। যেখানে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ভ্যাকসিন নিয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো যেতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আজন্ম অন্ধকারের দিকে এগোতো থাকবে। তাই সচেতনতার সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে বিকল্প চিন্তা করার দাবি জানাই।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...