1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

কুরআনী ইতিহাস

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
  • ২৯৭ বার পড়া হয়েছে
কুরআনী ইতিহাস
কুরআনী ইতিহাস

কুরআন মুদ্রণের ইতিহাস: 

মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের পর ইউরোপের হামবুর্গে হিজরি ১১১৩ সনে সর্বপ্রথম কুরআন মুদ্রিত হয়। এরপর বিশ্বের এখানে সেখানে অনেকেই ছাপাখানার মাধ্যমে কুরআন মুদ্রণ শুরু করেন, কিন্তু মুসলিম জাহানে নানা কারণে প্রথম দিকে মুদ্রিত কুরআন তেমন একটা গ্রহণযোগ্য হয়নি। মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম মাওলানা ওসমান রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কুরআন মুদ্রণের কাজ করেন। প্রায় একই সময় কাযান শহর থেকেও কুরআনের একটি নোসখা  ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের তেহরানে লিথো মুদ্রণ যন্ত্রের প্রথম কুরআন শরিফের একটি কপি মুদ্রিত হয়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে দুনিয়ার অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপকভাবে ছাপাখানার মাধ্যমে কুরআন মুদ্রণের রেওয়াজ চালু হতে থাকে।

নোকতা ও হরকত সংযোজন: 

আরবদের মধ্যে আগে আরবি বর্ণমালায় নোকতা সংযোজন করার কোনো রীতি প্রচলিত ছিলো না। তারা নোকতাবিহীন অক্ষর লিখতেন। এতে তাদের কুরআন তেলাওয়াতের ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হতো না। সে-যুগে আররি বর্ণমালায় নোকতা সংযোজন করা দূষণীয় মনে করা হতো । কিন্তু পরে অনারব লোকদের প্রয়োজনে আরবি বর্ণমালায় নোকতা সংযোজন একান্ত জরুরি হয়ে পড়ে। বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ তাবেয়ি হজরত আবুল আসাদ দুয়াইলি (র.) সর্বপ্রথম কুরআনের হরফসমূহে নোকতার প্রচলনের কাজটি আঞ্জাম দেন। অনেকের মতে— তিনি হজরত আলী (রা.)-এর নির্দেশেই সম্পাদন করেছেন।

নোকতার মতো প্রথম অবস্থায় কুরআনে হরকত বা যের-যবর-পেশ ইত্যাদিও ছিলো না। প্রসিদ্ধ অভিমত হলো—হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এ কাজটি ইয়াহইয়া বিন ইয়াসার এবং নসর বিন আসেম লাইসীর দ্বারা সম্পন্ন করিয়েছিলেন। কিন্তু তখন হরকতসমূহ আজকাল প্রচলিত হারাকাতের মতো ছিলো না। যবরের জন্যে হরফের উপরিভাগে একটা নোকতা এবং যেরের জন্যে নীচে একটা নোকতা এবং পেশের উচ্চারণ করার জন্য হরফের সামনে এক নোকতা এবং তানবিনের জন্যে দুই নোকতা ব্যাবহার করা হতো। পরে খলিল বিন আহমদ হামযা-এর সাথে তাশদিদের চিহ্ন তৈরি করেন। পরে একে আরো সহজবোধ্য করার জন্যে উপরে, নীচে বা পাশে অতিরিক্ত বিন্দু ব্যবহার করার বদলে বর্তমান আকারের হারাকাত প্রবর্তন করা হয়, যাতে করে হরফের নোকতার সঙ্গে হারাকাত নোকতার মিশ্রণজনিত কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয়।

কুরআনের সংখ্যা পর্যালোচনা:

পারা – ৩০ টি । সূরা – ১১৪ টি । সিজদা – ১৪ টি । রুকু- ৫৪০ টি । ওয়াক্ফ- ১,০৫,৬৪৮ টি । তাশদীদ- ১,২৫২ টি । মদ্- ১,৭৭১ টি। নোক্তা- ১,০৬,১৮৮ টি । পেশ- ৮,৮০৪ টি । জের- ৩৯,৫৮২ টি। যবর- ৫৩,২৪২ টি ।  আয়াত- ৬,২৩৬ টি । হরফ- ৩,৫০,১২৭ টি । আলীফ- ৪৮,৮৭২ টি । বা- ১১,১২৮ টি । তা- ১,১৯৯ টি । ছা- ১,২৭৬ টি । জ্বীম- ৩,২৭৩ টি । হা (বড়)- ৭৭৩ টি । খা- ২,৪১৬ টি। দাল- ৫,৬৪২ টি। জাল- ৪,৬৯৭ টি। রা- ১,২৮৯ টি । যোয়া- ১,৫৯০ টি । ছীন- ৫,৮৯০ টি । শীন- ২,২৫৩ টি । ছোয়াদ- ২,০১৩ টি । দোয়াত- ১,৬০৭ টি । তোয়া- ১,২৭৪ টি। জোয়া- ৮৪৬ টি । আইন- ৯২,২০০ টি । গাইন- ২,২০৮ টি । ফা- ৮,৪৯৯ টি । ক্কাফ- ৬,৮১৩ টি । কাফ- ৯,৫১২ টি । লাম- ৩,৪৩২ টি। মীম- ২৬,৫৩৫ টি । নূন- ২৬,৫৫০ টি । ওয়াও- ২৫,৫৩৬ টি । হা (ছোটো)- ১৯,০৬০ টি । লাম-আলীফ- ৩,৭২০ টি । হামজা- ৪,১১৫ টি । ইয়া- ২৫,৯১৯ টি ।

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
© ২০২৪- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )